দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২১:৫৯

বিএনপির মহাসচিব, জামায়াতের আমির এবং আইন উপদেষ্টাকে জাতীয় বেঈমান ঘোষণা।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ অভিযোগ করেছে, ভারতের ষড়যন্ত্রে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সংগঠনটির দাবি, এই ষড়যন্ত্রে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান সরাসরি জড়িত। এজন্য সংগঠনটি তাদের “জাতীয় বেঈমান” ঘোষণা করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে চিত্রশিল্পী সাইয়েদ কুতুব, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতারা, এবং অন্যান্য বক্তারা বক্তব্য রাখেন।

 

**সমাবেশের মূল বক্তব্য:**

– সাইয়েদ কুতুব বলেন, “বাংলার মাটিতে শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদী এবং তাদের দোসরদের কোনো স্থান হতে পারে না। এই ষড়যন্ত্র রুখতে ছাত্র-জনতার পাশে সর্বস্তরের জনগণ থাকবে।”

– জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমন্বয়ক গালিব ইহসান বলেন, “মির্জা ফখরুলকে শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায়, তার নাম বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে মুছে দিতে হবে।”

– গালিব ইহসান আরও বলেন, “ডা. শফিকুর রহমান যদি ফ্যাসিবাদীদের পক্ষ নেয়, তাহলে বাংলার জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না। তাকে জামায়াতের আমিরের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।”

 

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন কিংবা রাজনীতিতে ফিরবে কি না, সেটা ছাত্র-জনতা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রতিহত করব তাদের পুনরুত্থান।”

 

**সমাবেশে অন্যান্য দাবিসমূহ:**

1. আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

2. শহীদদের রক্তের জন্য দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা।

3. ভারতের অন্যায় হস্তক্ষেপ এবং দালালদের ভূমিকা প্রতিরোধ করা।

 

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়, যেমন:

– “ভারতের দালাল হুশিয়ার সাবধান!”

– “হাসিনা গেছে যে পথে, আসিফ নজরুল যাবে সে পথে।”

– “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিপাত যাক।”

 

বক্তারা দাবি করেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন চলবে এবং বাংলার মাটি থেকে ফ্যাসিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ