দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২১:৫৯

রুটিনমাফিক কাজেই সীমাবদ্ধ শিক্ষার কার্যক্রম, চাহিদা মেটাতে হিমশিম।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীরা সরব হয়ে ওঠেন, যেখানে শিক্ষকদের একটি অংশও তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।  তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে শিক্ষাখাতে প্রত্যাশিত পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়নি বলে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। তাঁদের মতে, রুটিনমাফিক কাজের মধ্যেই শিক্ষার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত, যেমন এইচএসসির কিছু পরীক্ষার বাতিল, সমালোচিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাখাতে সংস্কার কমিশন গঠনের পরিবর্তে অন্যান্য ক্ষেত্রে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করার বিষয়টিও হতাশাজনক।

 

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলেও প্রক্রিয়াটি আগের মতোই হয়েছে, যেখানে স্বচ্ছতা ও স্বায়ত্তশাসনের অভাব লক্ষণীয়। অন্যদিকে, ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ ও তিতুমীর কলেজের পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে।

 

নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যকারিতা নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় এটি স্থগিত রেখে আগের পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহের কাজ এখনও ধীরগতিতে চলছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

 

শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে একটি সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরীর মতে, সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও শিক্ষাকে যথাযথ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না। মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

সর্বোপরি, শিক্ষার উন্নয়নে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ ও অগ্রাধিকার নির্ধারণের গুরুত্ব এখন সর্বাধিক।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ