বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে লটারির মাধ্যমে। আজ ১২ নভেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন, যা চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ডিসেম্বর মাসে এই ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে।প্রতি বছরই নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া বছরের শেষের দিকে শুরু হয় এবং জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি হতো, কিন্তু ২০২১ শিক্ষাবর্ষে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সব শ্রেণির ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি চালু করা হয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। ভর্তির অন্য কোনো পদ্ধতি অনুমোদিত নয়।
ভর্তির জন্য https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করা যাবে, এবং ১১০ টাকা আবেদন ফি টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ অনলাইন আবেদন ও লটারির তারিখ নির্ধারণ করবে, যা ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতি শাখায় সর্বোচ্চ ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
### ভর্তির বয়সসীমা
প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে, এবং পরবর্তী শ্রেণিগুলোর জন্য বয়স ধারাবাহিকভাবে নির্ধারিত হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের বয়স ছাড় দেয়া হবে।
### সংরক্ষিত কোটা এবং অন্যান্য কোটাসমূহ
* **ক্যাচমেন্ট কোটা**: ঢাকার সরকারি বিদ্যালয়গুলোর জন্য ৪০ শতাংশ কোটা ক্যাচমেন্ট এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
* **মুক্তিযোদ্ধা কোটা**: মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। যদি এই কোটায় প্রার্থী পাওয়া না যায়, তবে মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
* **সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী কোটা**: ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।
* **বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী কোটা**: ২ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে।
* **কর্মচারী কোটা**: শিক্ষা বিভাগ ও অধীনস্থ দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।
* **যমজ ও সহোদর কোটা**: যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সহোদর বা যমজ আগে থেকে অধ্যয়নরত, তাদের জন্য ৩ শতাংশ কোটা থাকবে, তবে এটি সর্বোচ্চ দুটি সন্তানের জন্য প্রযোজ্য হবে।
### স্কুল পছন্দক্রম
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ের পছন্দক্রম দিতে পারবে।