জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্কুলে পাবলিক ফাইন্যান্স বিষয়ে গবেষণা করছেন এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমিয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার উপায় খুঁজছেন।এ বিষয়ে আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যা প্রায় এক বছর সময় নেয়। তবে যোগ্যতা থাকলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তিনি বলেন, “এটা চ্যালেঞ্জিং হলেও যদি আপনার গবেষণা ও দক্ষতা শক্তিশালী হয়, তাহলে আপনি নিয়োগ পাবেন।” তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রথমে অনলাইনে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তারপর ক্যাম্পাসে গিয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। এই সময় তারা নিজের গবেষণার উপস্থাপনা করেন এবং সেখান থেকে যদি ভোট পাওয়া যায়, তবে চাকরি নিশ্চিত হয়।
আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য আরও বেশি সুযোগ পাচ্ছেন, বিশেষ করে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে চীনা শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার কমে যাওয়ার কারণে। তিনি বলেন, ফ্লোরিডার আবহাওয়া বাংলাদেশের মতো হওয়ায় এখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সহজেই নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবেন। তবে, আবেদন করতে হলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ভালো জিপিএ, জিআরই এবং আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার পর আবু বকর সিদ্দিক আন্তর্জাতিক বৃত্তির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পাবলিক পলিসি ও ডেভেলপমেন্ট পলিসিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিজিপিএয়ের তুলনায় গবেষণার প্রোফাইল এবং ক্লাস পরিচালনায় দক্ষতার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনেক সময় গবেষণার প্রোফাইল ভালো থাকলে সিজিপিএও গৌণ হয়ে যায়।
এছাড়া, তিনি ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি বা মাস্টার্স করতে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে এবং যোগ্যতা পূর্ণ হলে তারা সহজেই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতে পারেন।