দ্বিতীয় ধাপের ফলাফল প্রত্যাশীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে এবং লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুর বারোটার দিকে মিরপুর-২ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। এসময় রোমানা ইসলাম, শাকিল, ওমর ফারুকসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।বক্তারা বলেন, “আমাদের কিছু দাবি নিয়ে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। কেন আমাদের সাথে এমন আচরণ করা হচ্ছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে একটাই দাবি, তিনি যেন আমাদের দাবি পূরণে ব্যবস্থা নেন।”
তাদের প্রধান দাবি ছিল, ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল পুনর্বিবেচনা করতে হবে, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো ৩:১ বা ৪:১ অনুপাতে নিয়োগ দিতে হবে এবং পদসংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর চাকরিপ্রার্থীদের একটি অংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ৩১ অক্টোবর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার এই ফল প্রকাশিত হয়, যা প্রার্থীদের মতে ত্রুটিপূর্ণ। তাদের অভিযোগ, পরীক্ষার চারটি সেট থাকা সত্ত্বেও সব সেটের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। তারা আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানান।
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফলাফলে ছয় হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হলেও দাবি উঠেছে যে চারটি সেটের মধ্যে সব সেট সমানভাবে মূল্যায়িত হয়নি। প্রার্থীদের মতে, পদ্মা সেটের মাত্র ১ শতাংশ ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে। তাদের অভিযোগ, বুয়েটের ত্রুটিপূর্ণ ফলাফলের কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য এবার তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হলেও তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশে দেরি হয়েছে, এবং প্রার্থীরা চার মাসের বেশি অপেক্ষা করছেন।
এর আগে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো দ্রুত তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) চূড়ান্ত ফল প্রকাশের জন্য তারা তিনটি মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছিলেন।