দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৫:৫৪

দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপের সুযোগ, যেখানে আইইএলটিএসে ৫.৫ স্কোর নিয়ে আবেদন করা সম্ভব।

দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার মূল আকর্ষণ হলো দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, যেখানে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব থাকার ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দমতো বিষয় সহজেই নির্বাচন করতে পারেন। তবে খণ্ডকালীন কাজের জন্য কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা প্রয়োজন, যা পড়াশোনা ও জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলতে পারে। বিশেষ করে স্কলারশিপের জন্য কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকলে তা বাড়তি সুবিধা দেয়। ভর্তিপ্রক্রিয়ার সময়ে স্কলারশিপ পাওয়া গেলে, ভিসা প্রক্রিয়াকরণও সহজ হয়। চলুন, দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দেখে নিই:

 

**দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুবিধা**

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওইসিডি তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। শিক্ষা ও প্রতিযোগিতায় এর রয়েছে শক্তিশালী অবস্থান, যা কিউএস ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়কে শীর্ষ শতকের মধ্যে নিয়ে এসেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইয়োনসেই ইউনিভার্সিটি, কোরিয়া ইউনিভার্সিটি এবং পোহং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

 

দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি স্থিতিশীল হওয়ায় শিক্ষার্থীদের চাকরি পাওয়া সহজতর, যা তাদের নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করে। নাম্বিও অনুসারে দেশটি মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে। ক্রমবর্ধমান মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নও এটি একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তুলেছে।

 

**দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়**

দেশটির প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইয়োনসেই ইউনিভার্সিটি, কোরিয়া ইউনিভার্সিটি, পোহং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সুংকিউনকওয়ান ইউনিভার্সিটি, হ্যানিয়াং ইউনিভার্সিটি, উলসান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দেগু গিয়াংবুক ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, এবং কিউং হি ইউনিভার্সিটি।

 

**জনপ্রিয় পড়াশোনার বিষয়সমূহ**

অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফাইন্যান্স, ফ্যাশন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট, ডিজাইন মিডিয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বায়োটেকনোলজি।

 

**আবেদনের প্রক্রিয়া**

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল রয়েছে, যেখানে আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারেন। সাধারণত সেমিস্টার শুরুর অন্তত তিন থেকে চার মাস আগে আবেদন জমা দিতে হয়। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্প্রিং এবং ফল—দুটি সেমিস্টারে ভর্তি নেওয়া হয়।

 

**ভর্তির আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র**

– পূরণকৃত আবেদনপত্র

– পাসপোর্ট

– পাসপোর্ট সাইজ ছবি

– উচ্চমাধ্যমিক সনদ

– ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সনদ (টোয়েফল ন্যূনতম ৭১ বা আইইএলটিএস কমপক্ষে ৫.৫)

– পার্সোনাল স্টেটমেন্ট

– ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সহায়তার হলফনামা

– লেটার অব রিকমেন্ডেশন, সিভি

– পিতামাতার পরিচয়পত্র

 

**স্কলারশিপের সুযোগ**

দক্ষিণ কোরিয়ায় বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ রয়েছে। ইয়নসেই ও কোরিয়া ইউনিভার্সিটি আংশিক বা সম্পূর্ণ স্কলারশিপ দেয়। হ্যানিয়াং ইউনিভার্সিটি অধ্যয়ন ফি মওকুফ করে। স্যামসাং গ্লোবাল হোপ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিস্টারে ৩৯ লাখ ওন অর্থসহায়তা দেয়। গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপও পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।

 

**খণ্ডকালীন চাকরি**

দক্ষিণ কোরিয়ায় খণ্ডকালীন চাকরির জন্য প্রথম সেমিস্টার শেষে অনুমতি পাওয়া যায়। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা ৩০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট