রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, “আমি যদি ছোটবেলায় ফুলকুঁড়ির মতো একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারতাম, তাহলে আমার মায়ের জীবনটা সহজ হতো। দুষ্টামি কম করতাম এবং মাকে কম কষ্ট দিতাম।” আজ শনিবার সকাল ৯টায় রাবির এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যালারিতে ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী, শিশু-কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হয়, যেখানে পরিবেশ রক্ষায় গ্রাফিতি, শর্টফিল্ম, জাতীয় সঙ্গীত, গান ও কবিতা পরিবেশিত হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, “আমাদের দেশে ফুলকুঁড়ি নামক এই সংগঠনটি পঞ্চাশ বছর ধরে শিশুদের জন্য কাজ করছে। এটি এক ধরনের অদম্য প্রাণশক্তি ধারণ করে, যা সংগঠনটিকে টিকিয়ে রেখেছে। বর্তমানে ফুলকুঁড়ি লাখের ওপরে শিশু-কিশোরদের নিয়ে চলছে এবং কিছু প্রচেষ্টায় এই সংখ্যা আরও বাড়ানো সম্ভব।”
শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তোমরা তোমাদের বন্ধুদের বলো যে এখানে কী ধরনের কার্যক্রম হয়, যাতে তারাও এসে উপকৃত হতে পারে। আজ যারা পুরস্কার পেয়েছো, তাদের সাফল্যের পেছনে মা-বাবা, ভাই-বোন এবং শিক্ষকদের অবদান রয়েছে। আমরা যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি, তার পেছনে বহু মানুষের অবদান আছে, যা কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসক) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার, আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. ছাইফুল ইসলামসহ আরও অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক।
প্রসঙ্গত, ফুলকুঁড়ি আসর ১৯৭৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর থেকে জাতীয় শিশু সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। সংগঠনটির উদ্দেশ্য হলো শিশু-কিশোরদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে গড়ে তোলা। তাদের স্লোগান, “পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজেকে গড়ো”।