ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ফটকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি পুড়িয়ে বর্জনের ডাক দিয়েছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনার সময় তারা পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানও দেন।শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে পত্রিকা দুটি পোড়ানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পত্রিকা দুটির বিপক্ষে লেখালেখি শুরু করেছেন।
২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে আসছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তারা আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্রের গোয়েন্দাসংস্থার উদ্দেশ্যকে সমর্থন দিয়ে চলছে।
জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে গণহত্যার সাফাই গাওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পর তারা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপেক্ষা করে ভারতীয় মোটরবাইক ‘রয়েল এনফিল্ড’-এর বিজ্ঞাপন দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু ইস্যুতে উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশের ফলে তাদের সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে তারা জনমতের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় কোনো নীতিগত পরিবর্তন করেনি।
সম্প্রতি প্রথম আলো নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের একটি ইউটিউব ভিডিও প্রতিবেদনও আলোচনা সৃষ্টি করেছে। আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, এ প্রতিবেদন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত ছিল এবং রাতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে পত্রিকা দুটি পুড়িয়ে দেয়।