“পাঠ্যবইয়ে অতিরঞ্জিত ইতিহাস ও ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন অবদানের সঠিক প্রতিফলন ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাম পাঠ্যপুস্তক থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। এবার সেই নামগুলো ফিরছে। এর পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও শিরীন শারমিন চৌধুরীর মতো নারীদের নামও যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব পাঠ্যবই সংশোধন করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত হচ্ছে, এবং ‘রাজনীতিতে নারী’ শীর্ষক প্রবন্ধে খালেদা জিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হলেও নতুন কিছু পাঠ যুক্ত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রবন্ধগুলোর পরিবর্তন আসছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য ব্যক্তিত্বের অবদান উল্লেখ হবে।
পাঠ্যবই থেকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কিছু লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। একাদশ শ্রেণির বাংলা বইয়ে বঙ্গবন্ধুর ‘বায়ান্নের দিনগুলো’ গল্পটিও বাদ পড়েছে, কারণ এতে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস প্রতিফলিত হয়নি।
এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জনে শেখ হাসিনার ছবি ও বক্তব্য বাদ দেওয়া হচ্ছে। নতুন বইয়ের প্রচ্ছদে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতি থাকবে।
এই পরিমার্জন প্রক্রিয়া আরও দুই শিক্ষাবর্ষের অপেক্ষা দাবি করছে একটি ভালো মানের পাঠ্যবই তৈরির জন্য।”