শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ জন্য আগামী ১২ নভেম্বর থেকে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে, এবং লটারি অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বর মাসে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভায় আবেদন গ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। এরপর ডিসেম্বর মাসে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে শূন্য আসনের তথ্য চাওয়া হয়েছে, যা ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে জমা দিতে হবে। কোনো শ্রেণির জন্য শিক্ষার্থীর চাহিদাসংখ্যা ৫৫ জনের বেশি দেয়া যাবে না। ঢাকা মহানগরীর প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে (পুলিশ স্টেশন) ‘ক্যাচমেন্ট’ এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করবেন।
প্রতিবার বছরের শেষ সময়ে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি লটারির মাধ্যমে করা হতো, কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে একই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।
এবার কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা না পাওয়া গেলে নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখা হতো। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। যদি পুত্র-কন্যা না পাওয়া যায়, তবে মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।