দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২০:৩৭

স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল করা হয়েছে।

প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির জন্য ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগামী বছর থেকে এ কোটায় কেউ আবেদন ও ভর্তি হতে পারবে না। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কোটা পাবেন।সোমবার (২৮ অক্টোবর) মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জারি করা ভর্তি নীতিমালায় এ সংশোধন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনদের জন্য ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ থাকবে।

 

এতদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা না পাওয়া গেলে নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখা হতো। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। যদি এই আসনে পুত্র-কন্যা না পাওয়া যায়, তাহলে মেধাতালিকা অনুযায়ী ভর্তি করা হবে।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখা-২-এর শিক্ষা অফিসার জি. এম. মোস্তাফিজুর বলেন, প্রাথমিকভাবে সাধারণত ৬ থেকে ১৩ বছরের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। এবার ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা থাকছে না, তবে তাদের পুত্র-কন্যার কোটা থাকবে, যদিও এই বয়সী সন্তানদের সংখ্যা খুবই কম।

 

তিনি আরও জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি শুধুমাত্র পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা ফাঁকা থাকে, তাহলে মেধাতালিকা অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ মিলবে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ