দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:২৬

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, দেশের বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে এবং পুরোনো পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষাক্রম চলবে, যা পরীক্ষাপদ্ধতি সহকারে থাকবে। শিগগিরই এই বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে। তিনি মন্তব্য করেন, কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চর দখলের মতো দখল হয়ে যাচ্ছে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

আজ শনিবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অধ্যাপক মাহমুদ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক পদে দলীয়করণ, অবকাঠামো নির্মাণে দুর্নীতি ও পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

 

উপাচার্যসহ প্রশাসনিক পদে নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে ৫০টির বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টির বেশি এখন অভিভাবকহীন। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি রয়েছে। পূর্বে এসব পদ দলীয়করণে প্রভাবিত হওয়ায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যোগ্য ব্যক্তিদের খোঁজে কাজ চলছে এবং ভবিষ্যতে নিয়োগের আশা রয়েছে।

 

অভিযোগ উঠেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অধ্যাপক মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতির চক্র তৈরি হয়েছে এবং এটা সমাধানের চেষ্টা চলছে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষকরা প্রশাসনিক পদে নিয়োগ নেওয়ার জন্য ভয় পাচ্ছেন, যা একটি সমস্যা।

 

উপাচার্যসহ প্রশাসনিক পদে নিয়োগের বিষয়ে অধ্যাপক মাহমুদ জানান, তিনি বিভিন্ন সুপারিশ গ্রহণ করে যোগ্যদের নির্বাচন করছেন এবং আশা করছেন যে অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ সম্পন্ন হবে। ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদও শূন্য রয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি নিয়োগের প্রস্তাব করা হবে।

 

প্রশাসনিক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা না করার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি, অধ্যাপক মাহমুদ বলেন, নিয়োগকৃতদের মধ্যে অনেকেই ভবিষ্যতে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে এবং শিক্ষাক্রম পুনঃপ্রবর্তন করা হবে।

 

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, উপাচার্য নিয়োগের নিয়মাবলি বজায় রাখার পাশাপাশি সাময়িক নিয়োগ করা হচ্ছে কারণ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সময় নেই।

 

অধ্যাপক মাহমুদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল সম্পর্কে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। শিক্ষকদের অপমান, লাঞ্ছনা এবং পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

আগামী বছরের শিক্ষাক্রম নিয়ে অধ্যাপক মাহমুদ জানান, পুরোনো পাঠ্যক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে নতুন পাঠ্যক্রমের ত্রুটি সামলানো যায়। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পুরোনো পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করা হবে এবং নতুন পাঠ্যপুস্তক দ্রুত সময়ে প্রস্তুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

বইয়ের ছাপার মান নিয়ে তিনি বলেন, মান ভালো না হলে বইয়ের গুণগত মান বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে এবং যদি প্রয়োজন হয়, অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ