সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৫৬ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি তাঁদের নামে ৩৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯ টাকা লেনদেনেরও তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আজ বুধবার তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অনুসন্ধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তাঁদের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান, মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে।
এদিকে দুদকের অনুসন্ধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. মনির হোসেনের ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করেছে দুদক।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আসাদুজ্জামান আত্মগোপনে রয়েছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউয়ের নির্দেশে গত ১৩ আগস্ট আসাদুজ্জামান খান কামাল, তাঁর স্ত্রী, পরিবার ও তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।