দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:৪৩
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি ওঠায় এবং সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট। এতে আমদানি-রপ্তানি পণ্য আনা-নেওয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে তৈরি পোশাক শিল্প। বন্যার শুরুতে রপ্তানি পণ্য পরিবহন কমে তিন ভাগের এক ভাগে নেমে আসে। তবে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় দ্রুত সংকট কাটার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানি পণ্যের ৯০ ভাগ পরিবহন হয় ২১টি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো থেকে। প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার ট্রাকে এসব পণ্য পরিবহন করা হয়। কিন্তু বন্যার কারণে বিভিন্ন সড়ক ডুবে যাওয়ায় ডিপোতে ট্রাকের সংখ্যা কমে নেমে যায় ৬০০ তে।

বন্যা শুরুর পর ডিপোতে ট্রাক আসা তিন ভাগের একভাগ কমে যায়।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, বন্যা শুরুর পর রপ্তানি পণ্যের পরিবহন প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নেমেছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ও কুমিল্লা অংশে পানি ওঠায় এবং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আটকা পড়ে পণ্যবাহী অসংখ্য যানবাহন। দেখা দেয় শ্রমিক সংকটও।

আন্তঃজেলা ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় ভ্যানচালকেরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করছিলেন। তাদেরকে কাজে তেমনভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

পরিবহন সংকটে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে তৈরি পোশাক শিল্প। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বায়াররা একদিন দেরি হলেও সেটা অ্যাকসেপ্ট করতে চান না। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্প একটা নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেছে।

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে  ট্রাকের সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। শিগগিরই পরিবহন সংকট কেটে যাওয়ার আশায় সংশ্লিষ্টরা।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ