বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি। গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ রোববার তা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।
এদিকে লভ্যাংশের খবরে আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টায় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় ১ শতাংশ বা ১ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ টাকায়। গত বছর সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসাবে এই বছর কোম্পানিটির ঘোষিত লভ্যাংশের পরিমাণ ৫ শতাংশ বেড়ে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। লভ্যাংশের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ বাজারে শেয়ারের দামও বেড়েছে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরে তাদের মুনাফাও আগের বছরের তুলনায় ৪০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সায়। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল মাত্র ৪৬ পয়সা। সেই হিসাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ৮৮ পয়সা বা ৪০৯ শতাংশ। মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়ায় লভ্যাংশের পরিমাণও বেড়েছে কোম্পানিটির।
১৯৯০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি বর্তমানে ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত স্বল্প মূলধনি একটি কোম্পানি। এটির পরিশোধিত মূলধন প্রায় ২৮ কোটি টাকা, যা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২ কোটি ৭৮ লাখ শেয়ারে বিভাজিত। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৫ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। বাকি ৫৫ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক, বিদেশি ও ব্যক্তি শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ঘোষিত লভ্যাংশের দাবিদার নির্ধারণের জন্য কোম্পানিটি রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করেছে আগামী ৩১ অক্টোবর। নিয়ম অনুযায়ী, ওই তারিখে যাদের হাতে কোম্পানিটির শেয়ার থাকবে, তারা ঘোষিত লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য দাবিদার হিসেবে বিবেচিত হবেন। রেকর্ড তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকবে। আর লভ্যাংশের চূড়ান্ত অনুমোদন হবে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে। চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর অনলাইনে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এজিএমে অনুমোদনের পরই ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।