শ্রমিক অসন্তোষের জেরে আজও গাজীপুর ও সাভার অঞ্চলের শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। তৈরি পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্যানুসারে, আজ দেশের গাজীপুর এলাকার ৮টি এবং সাভার-আশুলিয়া ও জিরানি এলাকার ১০৭টি কারখানা বন্ধ আছে।
সব মিলিয়ে আজ দেশের ১১৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। দেশে বিজিএমইর সদস্যভুক্ত সক্রিয় কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ১৪৪। অর্থাৎ ৫ শতাংশ কারখানা বন্ধ আছে। তবে বিজিএমইএর সদস্য কারখানার বাইরেও কারখানা আছে। ফলে সব মিলিয়ে বন্ধ কারখানার সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হতে পারে।
সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রম অসন্তোষ কমছে না। শ্রমিক বিক্ষোভে গতকাল বুধবার ১৮৩টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সাভার-আশুলিয়া-জিরানী এলাকার ৫৪টি ও গাজীপুরের ১২টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। বাকি ১১৭ কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ না করায় ছুটি দেওয়া হয়।
গতকাল বিক্ষোভের একপর্যায়ে গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় বিগবস করপোরেশন নামে একটি কারখানার গুদামে আগুন দেওয়া হয়।
শ্রম অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাধারণত পাঁচ বছর পর মজুরি সমন্বয় করা হলেও এবার তা আগেই করার কথা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল সচিবালয়ে ‘শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
হাজিরা বোনাস ও টিফিন বিল বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে ৩১ আগস্ট থেকে গাজীপুর ও সাভার-আশুলিয়ার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন। এ ছাড়া কারখানায় নিয়োগে নারী ও পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিতের দাবিতেও বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। মাঝখানে চার দিন পরিস্থিতি ভালো থাকলেও গত মঙ্গলবার গাজীপুরে আবার শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয়। গত সোমবার তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা আশুলিয়ার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।