দ্যা নিউ ভিশন

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ ১৬:৫৫

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হচ্ছে

চাল

প্রতিবেশী ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের ডাকা আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে চাল সরবরাহের কাজটি পেয়েছে ভারতীয় কোম্পানি বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। শুল্ক-কর ছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় এই চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ৮ লাখ টাকা।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি যে অনুমোদন দেয় তার অংশ হিসেবেই এ চাল আমদানি হচ্ছে।

ক্রয় কমিটির প্রতিটি বৈঠকেই চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, দেশের খাদ্য পরিস্থিতি আসলে কেমন, বৈঠক শেষে এমন প্রশ্ন করা হয় অর্থ উপদেষ্টাকে। জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখন খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। একজন মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্যপণ্য থাকে। সেখানে একটা কমবে, একটা বাড়বে। মোটাদাগে তা সহনীয় পর্যায়ে আছে।

পাঁচ সপ্তাহ আগের তুলনায় ভারতীয় চালের দাম একটু কমেছে। গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। তখন চাল সরবরাহের কাজ পেয়েছিল ভারতের গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশন। প্রতি টনের দাম ছিল ৪৫৪ দশমিক ১৪ মার্কিন ডলার। তাতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশের প্রায় ২৭৭ কোটি টাকা।

তবে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুর থেকে যে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছিল, তাতে ব্যয় ধরা হয় ২৬৫ কোটি ২১ লাখ টাকা, যা সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রো কর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই, এলটিডি। তখন প্রতি টন চাল ৪৩৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার দরে কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ