বাংলাদেশি অবৈধ সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ করার আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী পাঁচটি সংস্থা, যার মধ্যে টিআইবি অন্যতম। তারা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে এ আহ্বান জানায়। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে টিআই ইউকে, ইউকে অ্যান্টি করাপশন কোয়ালিশন, ইন্টারন্যাশনাল ল ইয়ারস প্রজেক্ট এবং স্পটলাইট অন করাপশনের সাথে যৌথভাবে।
৩০ আগস্টের চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সুবিধাভোগীদের দুর্নীতি উদ্ঘাটিত হচ্ছে, এবং তাদের পাচারকৃত সম্পদ বাংলাদেশের নাগরিকদের সম্পদ। ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের পাশাপাশি দেশটিকে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে পাচার হওয়া সম্পদ দ্রুত চিহ্নিত ও পুনরুদ্ধার করা জরুরি। এজন্য যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “আমরা উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অংশীদার দেশগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছি যেন তারা বাংলাদেশি অবৈধ সম্পদ ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারকে এই বিষয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে।”
স্পটলাইট অন করাপশনের নির্বাহী পরিচালক সুসান হোলে বলেন, “যুক্তরাজ্য দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টা জোরদার করে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।” টিআই ইউকের ডিরেক্টর অব পলিসি ডানকান হেমজ উল্লেখ করেন, “যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের।”
চিঠিতে তিনটি বিষয় কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়েছে: প্রথমত, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিকে পাচারকৃত সম্পদের খোঁজ নিয়ে সেগুলো ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়া; দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন, আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে সহায়তা করা; তৃতীয়ত, পাচারকৃত সম্পদ ফেরত আনা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা।
