দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০১:৪৪

বিটকয়েন আবার নতুন উচ্চতায়, প্রায় লাখ ডলার ছুঁয়েছে একটি কয়েনের দাম

বিটকয়েন

আরও উচ্চতায় উঠেছে বিটকয়েন। দাম সামান্য একটু বাড়লেই তা এক লাখ ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই ক্রিপ্টোকারেন্সির যে রমরমা অবস্থা চলছে, তাতে লাখ ডলারের ঘর স্পর্শ করা বিটকয়েনের জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের চেয়েও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণমূলক পরিবেশ পাওয়া যাবে, এই প্রত্যাশায় বিটকয়েনের দাম বাড়া শুরু করে। চলতি বছরে বিটকয়েনের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। আর গত ৫ নভেম্বর ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর এর মূল্য বেড়েছে ৪৫ শতাংশ।

নভেম্বরের ওই নির্বাচনে বেশ কয়েকজন ক্রিপ্টোকারেন্সি–বান্ধব রাজনীতিবিদ কংগ্রেস সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ওই নির্বাচনের পর যেসব সম্পদের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তার একটি বিটকয়েন। শুক্রবার বিটকয়েনের বৃদ্ধি ছিল বেশ পরিমিত। একসময় এটির দাম ৯৯ হাজার ৮০০ ডলারের নতুন উচ্চতায় ওঠে। পরে দাম কিছুটা কমে ৯৯ হাজার ৩৮৩ ডলারে স্থির হয়।

বিটকয়েনের জন্ম ১৬ বছর আগে। এত দিন পরে এটি মূলধারায় চলে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প যেসব নীতি নিচ্ছেন, এর ফলে এটির গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।

এএমপি সিডনির মুখ্য অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান শেন অলিভার বলেন, ‘যত দিন এটি (বিটকয়েন) টিকে থাকছে, ততই এটি গুরুত্ব পাচ্ছে। এটাই বাস্তবতা। একজন অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারী হিসেবে এটিকে মূল্য দিতে আমি যুক্তি খুঁজে পাই না। এটি যে কারও অনুমানের বিষয়। তবে এটির একটি গতি আছে এবং এই মুহূর্তে তা বাড়ছে।’

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ডিজিটাল সম্পদ গ্রহণ করেছেন। তখন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী’ হিসেবে গড়ে তুলবেন। এ ছাড়া বিটকয়েনের একটি জাতীয় মজুত গড়ে তোলার অঙ্গীকারও তিনি করেন। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে যাঁরা বিনিয়োগ করেন, তাঁরা মনে করছেন যে ভবিষ্যতে এর ওপর নজরদারি কমবে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান গ্যারি গেনসলার জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। তাঁর সময়ে এসইসি বেশ কয়েকটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করে, যেগুলোর মধ্যে ছিল কয়েনবেজ, ক্রাকেন, বাইন্যান্স ইত্যাদি।

এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল যে তারা এসইসির নিবন্ধন নেয়নি, যার মাধ্যমে তারা আইন ভঙ্গ করেছে। তবে কোম্পানিগুলো এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে অবশ্য পুঁজিবাজারে বিটকয়েনভিত্তিক তহবিল বা ইটিএফ লেনদেনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পর থেকে বাজার আরও চাঙা হয়েছে। ইটিএফগুলো যাতে বিটকয়েনে বিনিয়োগ করতে না পারে, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার যুক্তি তুলে তা ঠেকাতে এসইসি অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সংস্থাটি তাতে ব্যর্থ হওয়ার পর এসব তহবিলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা আরও বেড়েছে।

নভেম্বরের নির্বাচনের পর মার্কিন কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত বিটকয়েনভিত্তিক তহবিলগুলোয় ৪০০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ হয়েছে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট