সোমবার (২ সেপ্টেম্বর), সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) উভয় বাজারেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এর ফলে, প্রধান সূচকও পতন ঘটেছে। তবে, লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ে গিয়ে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু, দিনের শেষ দিকে বিক্রির চাপ বাড়ার ফলে দাম কমার তালিকা দীর্ঘ হয় এবং প্রধান সূচকও হ্রাস পায়।
দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বৃদ্ধি পায়, বিপরীতে ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর ফলে, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট কমে ৫,৮০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে, ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২,১৩৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে, এবং ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১,২৩৬ পয়েন্টে রয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০৬৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৯৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেনের পরিমাণ ১৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেড়েছে।
এই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার, যার লেনদেন পরিমাণ ছিল ৮৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, যার লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক, যার লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এমজেএল বাংলাদেশ, রেনেটা, গ্রামীণফোন, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং আইএফআইসি ব্যাংক।
অপরদিকে, সিএসইতে সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৩১ পয়েন্ট কমেছে। বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৯টির দাম বেড়েছে, ১৫৬টির দাম কমেছে এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।