রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এখনো চাঁদাবাজি চলছে নীরবে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর উপদেষ্টাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। একইসঙ্গে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যবসায়ীদের সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংস্থার মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
গতকাল রোববার কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় কয়েক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। শুধু চাঁদাবাজদের মুখ পরিবর্তন হয়েছে; তারা প্রকাশ্যে না হলেও নীরবে চাঁদা তুলছে। বাজারের বিভিন্ন স্থানে দিনরাত চাঁদাবাজি চলছে। যদিও তারা কোনো দলের নাম বা কর্মীর নাম উল্লেখ করেননি। তারা জানান, চাঁদা বন্ধ হলে এবং নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারলে পণ্যের দাম কম থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বাজারে নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধও জানান তারা।
সভায় প্রকাশ্যে না বললেও, কয়েক ব্যবসায়ী সমকালকে জানান যে, গত শনিবার রাতে কারওয়ান বাজারের টিনশেড পার্ক মার্কেটের সামনে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ফুটপাথের অস্থায়ী আড়ত দখল করে তেজগাঁও থানার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফারুক হোসেন ওরফে ভাগিনা ফারুক নামে যুবদলের এক কর্মী। একই দিনে কিছু আওয়ামী লীগ কর্মী বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কয়েকটি মাছের আড়ত দখল করেছেন।
এসব অভিযোগ শুনে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, বাজারে চাঁদাবাজি এখনও নীরবে চলছে। আমাদের কাছে নতুন করে চাঁদাবাজির তথ্য এসেছে। একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, শনিবার রাতেও ফুটপাথে কয়েকটি সবজি ও মাছের আড়ত দখল করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন হলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই, তবে সারাদেশে চাঁদাবাজি বন্ধে ভোক্তা অধিদপ্তর সক্রিয় থাকবে। এই লক্ষ্যে সরকারের উপদেষ্টাদের সহায়তা প্রত্যাশা করছি।