দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৯:২৫

রাজস্ব আয়ে টেসলাকে ছাড়িয়ে গেল চীনের বিওয়াইডি

চীনের বিওয়াইডি এগিয়ে যাচ্ছে।

চীনের বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রস্তুতকারক কোম্পানি বিওয়াইডির আয় অনেকটা বেড়েছে। এই প্রথম রাজস্ব আয়ের দিক থেকে তারা টেসলাকে ছাড়িয়ে গেছে।

জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে বিওয়াইডির রাজস্ব আয় ২০০ বিলিয়ন ইউয়ান বা ২ হাজার ৮২০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২৪ শতাংশ বেশি। একই সময়ে টেসলা ২৫ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫২০ কোটি ডলার আয় করেছে। রাজস্ব আয়ে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বিওয়াইডি টেসলাকে অতিক্রম করলেও বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) বিক্রিতে টেসলা এখনো এগিয়ে আছে। খবর বিবিস।

এদিকে চীন সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনায় ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে বড় ধরনের ভর্তুকি দিচ্ছে। এই ভর্তুকি ও কর প্রণোদনার ফলে চীনের ক্রেতারা পেট্রলচালিত গাড়ির বদলে বৈদ্যুতিক বা হাইব্রিড গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন, চীনের ইভি বিক্রিতে যার বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। সরকারের এই পদক্ষেপে ইভি কোম্পানিগুলো লাভজনক হয়েছে।

গাড়ি বিক্রিতে বিওয়াইডি টেসলাকে টক্কর দিতে না পারলেও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের গাড়ি বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে। এদিকে চীন সরকারের দেশীয় গাড়ি কোম্পানি, বিশেষ করে বিওয়াইডির প্রতি সমর্থনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, চীন সরকার ইভি কোম্পানিগুলোকে এমনভাবে সহায়তা করছে, যে কারণে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা অসম হয়ে উঠেছে।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চীনে তৈরি ইভি আমদানিতে ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ইইউর এ সিদ্ধান্তে ইউরোপীয় বাজারে চীনের গাড়ি বিক্রি কমবে। বিষয়টি হলো ইউরোপের ইভি শিল্প নিজেদের শিল্প রক্ষায় বেশ সচেষ্ট।
চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানিগুলোকে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শতভাগ কর দিতে হচ্ছে। উচ্চ শুল্কের কারণ হিসেবে তারা চীন সরকারের সহযোগিতার বিষয়টি উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মনে করছে, চীন সরকারের এসব সহায়তার কারণে স্থানীয় শিল্প বিপদে পড়ছে।

এ ছাড়া চীন দেশের বাজারে ইভি বিক্রি বাড়াতে ক্রেতাদের বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি দিচ্ছে। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পুরোনো গাড়ির পরিবর্তে নতুন পরিবেশবান্ধব গাড়ি কেনার জন্য ২ হাজার ৮০০ ডলার করে ভর্তুকি নেওয়ার জন্য গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ ৭০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। পাশাপাশি আরও ছাড় দিচ্ছে চীন সরকার, যেমন কর ছাড়, বিভিন্ন ধরনের ভাতা; এসব কারণে চীনের বাজারে ইভির চাহিদা বাড়ছে।

এদিকে চীন অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে উচ্চ প্রযুক্তিপণ্যের ওপর নির্ভর করছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চীনের বৈদ্যুতিক গাড়িশিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার।
গত দুই দশকে চীনের গাড়িশিল্প দ্রুতগতিতে বেড়েছে। বিওয়াইডির মতো ব্র্যান্ডগুলো এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ঢুকছে। এই প্রবৃদ্ধির ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে, তাদের স্থানীয় কোম্পানিগুলো চীনের গাড়ি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না।

চীনের গাড়ির দাম ইউরোপীয় বাজারে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট