প্রকৃত জ্ঞানের জন্য বই পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠাভ্যাস বাড়াতে এবং তাদের বই পড়তে উৎসাহী করতে হবে। বর্তমানে অনেকেই সৃজনশীল কাজ থেকে সরে যাচ্ছেন, তাই এই চর্চাকে সমাজে আরও বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। প্রযুক্তি সব সময় একজন মানুষের জ্ঞান বিকাশের চাহিদা পূরণ করতে পারে না; এই চাহিদা শুধুমাত্র বইয়ের মাধ্যমে মেটানো সম্ভব।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিকাশ ও প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে নগরের বারুতখানা এলাকায় প্রথম আলো সিলেটের কার্যালয়ে একটি বই বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ৮টি পাঠাগারকে ৩,৮০২টি বই দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে সিলেট বন্ধুসভা।
বই পেয়েছে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস), সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, স্কলার্সহোম, উমেশচন্দ্র-নির্মলাবালা ছাত্রাবাস পাঠাগার, দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেট পাঠাগার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সহ-উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট গল্পকার জামান মাহবুব, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও গল্পকার সেলিম আউয়াল, এবং নাট্যব্যক্তিত্ব আমিরুল ইসলাম বাবু। বই পাওয়া পাঠাগারের পক্ষে বক্তব্য দেন উমেশচন্দ্র-নির্মলাবালা ছাত্রাবাসের সম্পাদক এবং মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সূত্রধর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমনকুমার দাশ।
শাবিপ্রবির সহ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “একজন ব্যক্তির আত্মোপলব্ধি ও চিন্তাশক্তির বিকাশে বইয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ের বিকল্প হিসেবে কিছু আসেনি; ট্যাবে কিংবা মোবাইলে পড়লে পাঠের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। অমিত সম্ভাবনার প্রজন্মের চিন্তাশক্তিকে আরও শাণিত করতে বইপাঠের দিকে সবাইকে মনোযোগী হতে হবে।”
এ বছর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাঠাগার ও বৃদ্ধাশ্রমে মোট ১ লাখ ২০ হাজার বই বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিকাশ, যার সহযোগী হিসেবে কাজ করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।