দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২২:৩৩

বাংলাদেশ বিমানে বাংলাদেশের সিনেমা নেই।

বাংলাদেশ বিমান। এতে বিদেশী সিনেমা রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশী সিনেমা একটিও নেই। বিষয়টি অবাক করা হলেও, এটি সত্যি। এমনটাই হয়ে আসছে বছরের পর বছর। এবার নির্মাতা-প্রযোজক জসিম আহমেদ একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি পোস্টে লিখেছেন, “বিজি ২০১, বোয়িং ৭৮৭। বাংলাদেশ বিমানের অচিন পাখি। গন্তব্য লন্ডন। শুক্রবার সিলেট থেকে টেক অফের পর আমি দীর্ঘ সময় ঘুমালাম, প্রায় অর্ধেক পথ। পরে ভাবলাম একটা সিনেমা দেখে আবার ঘুমাবো। ড্রিমলাইনারের ভিডিও লাইব্রেরিতে ঢুকে মাথায় আগুন ধরে গেল। ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ারের এন্টারটেইনমেন্টের এই অবস্থা! নতুন ও পুরাতন ইংরেজি সিনেমা তো আছেই, আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটের জন্য। কিন্তু জাপানি এবং হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি কলকাতার কয়েকটি নিম্নমানের বাংলা ছবি পেলাম।

 

বিগত কয়েক বছরে দেশের স্বাধীন পরিচালকদের বেশ কিছু প্রশংসিত সিনেমা এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবিও রয়েছে। কিন্তু আমি বাংলাদেশী ছবি খুঁজতে গিয়ে দুঃখজনকভাবে কোনো সিনেমা খুঁজে পাইনি। আহত হয়ে চিফ পার্সারকে জিজ্ঞাসা করলাম এর কারণ কি? তার ভাষায় বুঝলাম, এটি হেড অফিসের অন্য বিভাগের দায়িত্ব। তিনি আমাকে একটি খোলা ফিডব্যাক ফর্ম ধরিয়ে দিলেন, যেখানে আমি আমার মন্তব্য লিখলাম।

 

জসিম আহমেদ সেখানে লিখেছেন, “আমি খুবই হতাশ। জানি না ইনফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্টের দায়িত্বে কে আছেন। সিনেমা খুঁজতে গিয়ে দেখলাম নিম্নমানের ভারতীয় বাংলা সিনেমা, হিন্দি, ইংরেজি এবং জাপানি সিনেমা আছে, কিন্তু আমার দেশের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ারে একটি বাংলাদেশী সিনেমাও নেই। অথচ বিগত কয়েক বছরে দেশীয় নির্মাতাদের অসংখ্য পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা রয়েছে। আমার মনে হয়েছে, বিমানের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা ভারতীয়। এটি লজ্জার।”

 

জসিম পরে পোস্টে উল্লেখ করেছেন, “জানি না, আমার এই মন্তব্য এমডি-সিইওর কাছে পৌঁছাবে কি না, তবে রেকর্ড হিসেবে এটি কমেন্টে রেখে দিলাম।”

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ