শনিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রার একটি রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে। তিনজন দুষ্কৃতী তার উপর গুলি চালায়। লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন নিজেদের মুম্বইয়ের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করেছেন।
এই ঘটনার পর থেকেই বলিউড ও ভারতীয় প্রশাসন সতর্ক হয়ে উঠেছে। নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে সালমান খানের বাড়ির চারপাশে। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সালমানের অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে নিরাপত্তা জোরদারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে অভিনেতার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে সুরক্ষা কর্মীদের সংখ্যা সাধারণ সময়ের তুলনায় বেশি দেখা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করার ঘটনায় তিন ব্যক্তি জড়িত। ইতিমধ্যে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, কিন্তু তৃতীয় ব্যক্তি পালিয়ে গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের নাম গুরমেল সিং (২০) এবং ধরমরাজ কাশ্যপ (২০)। রোববার, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যের একটি ফেসবুক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও দাউদ ইব্রাহিমের মতো আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সঙ্গে যোগযোগ রাখার কারণে বাবা সিদ্দিকিকে টার্গেট করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মূল পরিকল্পনাকারীকে তারা খুঁজে বের করেছে এবং তদন্তে জানা গেছে যে এই হত্যা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। অভিযুক্তদের কয়েক দিন আগে অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং পরে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করা হয়। সিদ্দিকির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তিনি ১৫ দিন আগে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন এবং তার জন্য ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছিল। তবে বিষ্ণোই গ্যাং থেকে কোনো হুমকি পাওয়ার কথা পুলিশকে জানানো হয়নি।