সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা পুরুষদের জন্য ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছে পর্যালোচনা কমিটি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। তবে চাকরি থেকে অবসরের বয়স নিয়ে তারা কিছু বলেননি। সোমবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, এবং এতে আরও তিনজন সদস্য ছিলেন।
নারীদের বয়স দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হচ্ছে আরও বেশি নারীকে চাকরিতে যুক্ত করা। তিনি সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, সেশনজট, করোনা এবং অন্যান্য কারণে চাকরিতে প্রবেশের বর্তমান বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।
সরকারি সূত্র মতে, শিগগিরই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হবে, যা সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আসবে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর, তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে একদল চাকরিপ্রত্যাশী। সম্প্রতি কয়েকশ চাকরিপ্রত্যাশী রাজধানীর শাহবাগে সমবেত হন এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
কমিটির সদস্যসচিব জানিয়েছেন, প্রতিবেদন সরকারে জমা দেওয়া হয়েছে। বয়স বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ২ অক্টোবর বসেছিল কমিটি। এসময় কমিটির প্রধান বলেছিলেন, সেশনজট, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমান বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
