**গর্ভস্থ সন্তান আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এবং হেপাটাইটিস ভাইরাস**
অন্তঃসত্ত্বা মায়ের কাছ থেকে গর্ভজাত সন্তান এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। উল্লেখ্য, মারাত্মক এইডস ভাইরাসও একইভাবে ছড়ায়। হেপাটাইটিস A এবং E ভাইরাস সাধারণত শিশুকালেই বেশি দেখা যায়। লিভারের ক্ষতি হলে রক্তে বিলিরুবিন নামক পদার্থের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। বিলিরুবিন হলুদ রঙের একটি পদার্থ, যা শরীরে বেশি থাকলে গায়ের রঙ হলুদ হয়ে যায়, বিশেষ করে চোখ এবং হাত-পায়ের তালুতে। প্রস্রাবও গাঢ় রঙ ধারণ করে।
ভাইরাসের সংক্রমণে লিভার আক্রান্ত হলে, পিত্তথলিতে বা পিত্তনালিতে পাথর থাকলে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এছাড়া, লিভার বা পিত্তনালিতে টিউমার বা ক্যান্সার, পিত্তনালি কৃমির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া, পেনক্রিয়াসের ক্যান্সার এবং পিত্তথলির অপারেশনের জটিলতার কারণে জন্ডিস হতে পারে।
ভাইরাল ইনফেকশনের ফলে লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলি প্রধানত জন্ডিসের জন্য দায়ী, তবে অন্যান্য ভাইরাসও হালকা ধরনের জন্ডিস সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমানে ৫টি হেপাটাইটিস ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে: A, B, C, D এবং E।
হেপাটাইটিস A এবং E ভাইরাস খাদ্য বা পানির মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে অসুস্থতা সৃষ্টি করে, whereas B, C এবং D ভাইরাস রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণভাবে ইনজেকশনের সময় অন্যের ব্যবহৃত সূঁচ ব্যবহার, আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ, বা আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে অনিরাপদ সম্পর্কের মাধ্যমে এই ভাইরাসগুলি ছড়াতে পারে।
হেপাটাইটিস A ভাইরাস সাধারণত অল্প সময়ের মধ্যে জন্ডিস সৃষ্টি করে, যা রোগী সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে যায়। তবে E ভাইরাসের কারণে জন্ডিস অনেক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে।
লেখক: চিফ কনসালট্যান্ট, শমশের হার্ট কেয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।