দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ১০:৪৬

“বাংলাদেশে পূজার সময়টা নেপালি শিক্ষার্থীদের কেমন কাটল”

নেপাল থেকে বাংলাদেশে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। পূজার ছুটিতে তাঁদের দেশে ফেরার সুযোগ খুব কম হয়। ফলে নিজ দেশ থেকে দূরে, ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন করা একদিকে মন খারাপের কারণ হলেও অন্যদিকে আনন্দেরও বটে। নেপালি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

 

এই শিক্ষার্থীরা সাধারণত নিজেদের মতো করে ছোট পরিসরে ক্যাম্পাসে পূজার আয়োজন করেন। প্রয়োজনীয় সামগ্রী অনেকটাই স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করেন, কিছু নিজেরা বানিয়েও নেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশি সংস্কৃতির সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করেন। অনেকে আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঘুরে পূজা উদযাপন উপভোগ করেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী বিষ্ণু সাথি বললেন, “বাংলাদেশে আমি চতুর্থবার পূজা উদযাপন করছি। এখানকার পূজার সঙ্গে আমাদের পূজার কিছু পার্থক্য থাকলেও এটি আমার কাছে আনন্দদায়ক। পূজার প্রস্তুতিতে কেনাকাটা এবং অন্যান্য ব্যাপারে আমি বাংলাদেশি বন্ধুদের অনেক সহায়তা পাই, যা আমার অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করে।”

 

বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তার কথা নেপালি শিক্ষার্থীরাও বারবার উল্লেখ করেছেন। তাঁদের অনেকে স্থানীয় বন্ধুদের কাছ থেকে পূজার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষার্থী রিতু চালিসে বললেন, “বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। শুরুতে আমি বাংলা ভাষা জানতাম না বলে সবার সঙ্গে মিশতে দ্বিধা করতাম। কিন্তু ভাষা শেখার পর সবকিছু অনেক সহজ হয়ে গেছে। পূজা উদযাপনের সময় বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করার সুযোগ পাই, যা আমাকে আনন্দ দেয়। নেপালি ও বাংলা ভাষার কিছু মিলও আমার কাছে ভালো লাগে।”

 

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী লাভরাজ আচার্য বলেন, “ভারত বা বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। আমরা দুর্গা পূজাকে ‘বড়া দশে’ বলে থাকি। এখানে বড় বড় মণ্ডপে পূজা হয়, কিন্তু আমাদের এখানে তেমনটা হয় না। দশ দিন ধরে আমরা উৎসব পালন করি, আর দশমির দিন পরিবারের সবার আশীর্বাদ গ্রহণ করি। তবে ভিনদেশে থেকেও নিজের সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারাটা সত্যিই একটি ভালো অভিজ্ঞতা।”

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট