সম্প্রতি যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে স্ত্রী সুমাইয়া আফরিন বর্ষার দায়ের করা মামলায় অভিনেতা রাসেল মিয়া গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জামিনে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গতকাল সকালে তিনি প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানান, তার বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মিথ্যা মামলা করা হয়েছে এবং তিনি নিজে গিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। তবে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। রাসেল বলেন, “বর্ষা আমাকে একরকম জোর করে বিয়ে করেছে। আমি তখন ডিপজল সাহেবের বাড়িতে শুটিং করছিলাম। সেখানে যতদিন শুটিং করেছি, বর্ষা ততদিন গিয়েছিলেন। আমি যখন প্রথম তাকে দেখি, তার শরীরে পোড়া জায়গা দেখে আমার মনে সহানুভূতি জাগে। তখন তার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই। তবে ফেসবুকে আমি আগে তাকে মেসেজ দেইনি; তিনি আমাকে মেসেজ দিয়েছিলেন। এরপর আমাদের কথা শুরু হয়। একপর্যায়ে যখন জানতে পারি তিনি বিবাহিত এবং তার দুই সন্তান রয়েছে, তখন আমি যোগাযোগ বন্ধ করে দেই।
ঠিক সে সময় আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। সে সময় বর্ষা রাত জেগে সেবা করেছে, তাই তার প্রতি আমার আরও সহানুভূতি জাগে। তখন আমি বিয়ের জন্য রাজি হই। বিয়ের তিন দিন পর জানতে পারি তিনি মহিলা লীগের পদে রয়েছেন এবং অবৈধভাবে একরকম চাঁদাবাজি করেন। তখন আমি তাকে ছেড়ে দিতে চাই। একপর্যায়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে সকল অপকর্মের প্রমাণ আমার কাছে আছে।” রাসেল স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন।