### দেশের ইসলামিক ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল দেশের ইসলামিক ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র আধুনিক শিক্ষা প্রদান নয়, বরং ইসলামি মূল্যবোধ, আধ্যাত্মিকতা এবং নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে। এ সাফল্যের পেছনে রয়েছেন মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সোহাগ।
সোহাগ প্রথমে রেডব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা কিছু সময় পরে বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নতুন উদ্যমে শুরু করেন এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, যা এখন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হিসেবে পরিচিত।
ঢাকায় বিভিন্ন শাখায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে আধুনিক ও ইসলামিক শিক্ষা দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের কুরআন মুখস্ত করার জন্য হিফজ প্রোগ্রাম, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য তারবিয়াহ কার্যক্রম এবং বাস্তব জীবনে সফল হতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিশেষ কোর্স পরিচালনা করা হয়। এইভাবে, এভেরোজ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিক থেকেও পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের একজাম ফেসিলিটেটর হিসেবে ১২ বছরেরও বেশি সময় কাজ করার সময় সোহাগের একটি স্বপ্ন ছিল—একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গড়ে তোলা যেখানে শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে ইসলামের শিক্ষায় সমৃদ্ধ হবে। তিনি আন্তর্জাতিক মানের স্কুল তৈরি করতে চান, যা শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দেবে।
এভেরোজের শিক্ষার্থীরা আজ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, যেমন মোনাশ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন, ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, আইআইইউএম মালয়েশিয়া প্রভৃতি। ২০১৮ সালে ‘বেস্ট প্রি-স্কুল অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার এবং দুবাইয়ের ‘বেস্ট স্কুল চেইন অফ দ্য ইয়ার’ শিরোপা অর্জন করেছে এভেরোজ।
সোহাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইকোনমিকস থেকে ৩.৯৪ সিজিপিএ নিয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এবং বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার অধীনে পিএইচডি করছেন। তিনি মনে করেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কারের জন্য একটি নির্দিষ্ট মডেল ও কাঠামো প্রয়োজন, যা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ছাত্রছাত্রীরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সঠিক সুযোগ এবং শিক্ষা দেওয়া হলে, তারা দেশের উন্নয়নের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।”
এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোহাগের সমর্থনও উল্লেখযোগ্য। তিনি গত ১৮ জুলাই ফেসবুকে লিখেন, “বাংলাদেশের সাহসী ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। তোমাদের আন্দোলন ন্যায়বিচার এবং আমাদের জাতির ভবিষ্যতের জন্য।”
এ ধরনের সমর্থনের ফলে সোহাগ এবং তাঁর স্কুলের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ এবং ষড়যন্ত্র হয়। তবে তিনি তাঁর অবস্থানে অবিচল থেকে শিক্ষার্থীদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হননি, কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, এই আন্দোলন তরুণ প্রজন্মকে দেশের সংস্কার ও উন্নয়নে সাহসী ভূমিকা পালনে অনুপ্রাণিত করবে।