দ্যা নিউ ভিশন

এপ্রিল ২১, ২০২৫ ০১:৩১

পূজা–পার্বণের খাবারে সতর্কতা

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো দুর্গাপূজা। সাধারণত ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে চলে এই উৎসব। উৎসবের বিশেষত্ব হিসেবে পোশাক, খাবার, বেড়ানো, এবং সৌহার্দ্য–সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করা হয়। এর মধ্যে খাবারদাবারও অন্যতম আকর্ষণ।

 

উৎসবের সময় বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া হয়। তবে মনে রাখতে হবে, পরিবারে বিভিন্ন বয়সের সদস্য যেমন—ছোট বাচ্চা, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ মা-বাবা আছেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অতিথিদেরও আগমন ঘটে। তাই খাবার নির্বাচনে সচেতন হলে শারীরিক জটিলতা এড়ানো যায় এবং উৎসবের আনন্দে কোনো বিঘ্ন ঘটে না।

 

দুর্গাপূজার খাবারগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হলো লুচি, আলুর দম, খিচুড়ি, পায়েস, নারকেলের নাড়ু, ক্ষীর, পুরি, মালপোয়া, এবং তিলের নাড়ু। এছাড়াও শর্ষে ইলিশও অন্যতম আকর্ষণ।

 

লুচি-আলুর দমের কথা বললে, লুচি ময়দা বা আটা দিয়ে তৈরি এবং এটি শর্করাযুক্ত। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি উপযুক্ত হলেও, যাঁরা অতিরিক্ত ওজন বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁদের জন্য পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।

 

খিচুড়ি ও লাবড়া পুষ্টিকর খাবার, যা সবার জন্য উপকারী। তবে যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন বা যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি, তাঁদের সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।

 

পূজার বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি। পায়েস-পুলি, নারকেলের নাড়ু, ক্ষীর ইত্যাদি ঘন দুধ, চিনি বা গুড়, এবং মশলাযুক্ত করে তৈরি করা হয়। এসব খাবার ছোট-বড় সবার জন্য নিরাপদ হলেও ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য মিষ্টির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। মিষ্টির মধ্যে বেছে নিয়ে যেকোনো একটি খাবার খাওয়া উচিত এবং তা-ও পরিমিত পরিমাণে।

 

**হাসিনা আক্তার লিপি**, ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ, ল্যাবএইড ও পার্ক ভিউ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি, ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আশা

ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী