দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ১১:৪৭

বোলিং নিয়েও এখন দুশ্চিন্তা বাংলাদেশের

গতকাল অনুশীলনে মোস্তাফিজ

মেহেদী হাসান মিরাজ বল ফেলছেন। আর নীতিশ কুমার ছক্কা মারছেন। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের দুই দিন আগের সেই দৃশ্যটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সেও। বাংলাদেশ সিরিজেই অভিষেক হওয়া এই তরুণ এখন পর্যন্ত মিরাজের ১৩টি বল খেলেছেন। যার মধ্যে ডট বল ৪টি।

বাকি ৯ বলের মধ্যে ছক্কা ৩টি, চার ১টি। তিন সংস্করণের ক্রিকেটে ম্যাচসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনারকে মাত্র দুটি টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটার এভাবে মারলেন! আর রিশাদ হোসেন? বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে রেকর্ড ১৪ উইকেট নেওয়া লেগ স্পিনারের ১২ বলে নীতিশের রান ২৫, ছক্কা ৩টি।

দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ দলের দুই মূল স্পিনারের বল যেভাবে ছক্কায় ওড়ালেন নীতিশ, তা দেখে অনেকে সাকিব আল হাসানের শূন্যতা অনুভব করতেই পারেন। ডানহাতি নীতিশের সামনে অভিজ্ঞ সাকিবের বাঁহাতি স্পিনটা হয়তো আরও কার্যকর মনে হতো।

কিন্তু বাংলাদেশের এখন সাকিবকে ছাড়াই ভাবতে হবে। আর এই সিরিজে বাঁহাতি স্পিনার বলতে গেলে আছেন একমাত্র রাকিবুল হাসান। এশিয়ান গেমসে গত বছর দুটি ম্যাচ খেলা এই তরুণ এখনো জাতীয় দলের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি। কাল অবশ্য বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন রাকিবুলকেই। কে জানে, আজ হয়তো রাকিবুল টি-টোয়েন্টি ক্যাপটা পেয়ে যেতে পারেন।

দলে ফিরতে পারেন আরেক স্পিনার মেহেদী হাসানও। ভালো উইকেটে তাঁর অফ স্পিন বোলিংয়ের প্রশংসা শোনা যায়। মিরাজকে জায়গা দিতে গিয়ে প্রথম দুই ম্যাচে মেহেদীর একাদশে জায়গা হয়নি। যদিও প্রথম দুই ম্যাচ মিলিয়ে মিরাজ বোলিং করেছেন মাত্র ৪ ওভার। টিম ম্যানেজমেন্টের মিরাজ-ভাবনাটা অবশ্য অন্য রকম।

কাল নিক পোথাস সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, ‘আমরা মিরাজের মতো একজনকে পেয়ে দারুণ ভাগ্যবান। কারণ, সে ব্যাট করতে পারে টপ ও মিডল অর্ডার, দুই জায়গাতেই। বলও করতে পারে ভালো।’

পরে মিরাজকে নিয়ে পোথাস আরও বলেছেন, ‘সে আমাদের অনেক বিকল্প দিচ্ছে। কারণ, তার ৩টি স্কিল রয়েছে, যা অনেক উঁচু মানের। যেহেতু সে সর্বশেষ বিশ্বকাপে ছিল না, আমরা এখন তাকে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করে দেখব যে কেমন করে, কোন দায়িত্বটা তার জন্য আদর্শ। সেই দায়িত্বেই তাঁকে ভবিষ্যতে দেখা যাবে। আমরা অনেক ভাগ্যবান তার মতো একজনকে বিভিন্ন দায়িত্বে খেলাতে পারছি, বিভিন্ন কন্ডিশনে।’

যদিও ব্যাটিং–সহায়ক কন্ডিশনে ধারাবাহিকভাবে জিততে হলে যেকোনো দলের অধিনায়ককে কমপক্ষে পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলারের ২০ ওভার নিয়ে মাঠে নামতে হয়। সাকিবের মতো অলরাউন্ডার দলে থাকলে ৬ বোলার নিয়েও দল সাজানো যায়।

কিন্তু নাজমুলকে দিল্লির দ্বিতীয় ম্যাচে একটা পর্যায়ে বোলার শূন্যতায় ভুগতে দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে ১ ওভার করাতে হয়েছে। স্পিনাররা ভালো না করায় আর ২০ ওভার শেষ করতেই যেন কষ্ট হচ্ছিল অধিনায়কের।এর মধ্যেও বোলিং বিভাগে কিছুটা স্বস্তির খবর তাসকিন আহমেদের বোলিং।

গোয়ালিয়রে যিনি ২.৫ ওভারে ৪৪ রান দিয়েছিলেন, সেই তাসকিনই ছোট্ট বাউন্ডারির দিল্লিতে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ২ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজুর রহমানও প্রথম ম্যাচের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো বোলিং করেছেন। রান দিলেও সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দারুণ বোলিং করে ২ উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান।

পেস বোলিং বিভাগের এই উন্নতিটা স্পিন বিভাগেও ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই চায় বাংলাদেশ।

 

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট