দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ১৪:২৪

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।

স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য সুস্থ শরীরের পাশাপাশি সুস্থ মনের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।আজ ১০ অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। বাংলাদেশেও এ দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো “কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এখনই সময়”। প্রত্যেকেই কর্মজীবী এবং জীবনের একটি দীর্ঘ সময় কর্মক্ষেত্রে কাটান। আমাদের কর্মক্ষেত্র জীবন ও জীবিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে আমরা নিজেদের পাশাপাশি পরিবারকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ পাওয়ার অধিকার সবার আছে, এবং এর একটি প্রধান অংশ হলো মানসিক স্বাস্থ্য।

 

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে মানুষের কর্মস্পৃহা ও উদ্দীপনা কমে যায়, যা কর্মহীনতা ও কর্মচ্যুতি সৃষ্টি করে। ফলে ব্যক্তির ও তার পরিবারের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। উদ্বেগ ও বিষণ্নতার কারণে প্রতি বছর ১২ বিলিয়ন কর্মদিবস নষ্ট হয়।

 

অনেক কর্মক্ষেত্রে হয়রানি, বুলিং, অপদস্তকরণ ও অসহযোগিতার মতো কারণে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, যা মানুষকে হীনমন্যতা, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, মাদকাসক্তি, ব্যক্তিত্ব সমস্যা এবং অন্যান্য গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত করে। কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হলে আবেগগত সমস্যা ও দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ তৈরি হয়।

 

এটি আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের দেশে সাধারণত এক বা দুইজন কর্মজীবী মানুষ একটি পরিবারের সদস্য। তাই কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও নিশ্চিতকরণ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য খুবই জরুরি। এর জন্য সামাজিক সচেতনতা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য।

 

কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনের জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:

1. মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা।

2. সহকর্মীদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ও পারিবারিক বন্ধন তৈরি করে মনের কষ্টগুলো ভাগাভাগি করা।

3. একে অপরকে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করা।

4. সহকর্মীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।

5. অন্যদের হেনস্তা বা অপমান না করা।

6. সহকর্মীর দুঃখ-দুর্দশা শেয়ার করা এবং সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করা।

7. কর্মক্ষেত্রে বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজন করা।

8. মানসিক রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সহকর্মীদের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা।

9. একটি স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে সবাই মানসিক চাপমুক্ত ও হাসিখুশি থাকতে পারে।

 

এভাবে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব হলে কর্মজীবী মানুষ ও তাদের পরিবার নিরাপদ ও সুস্থ জীবন কাটাতে পারবে।

 

লেখক: অধ্যক্ষ, ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট