দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ১৪:২৫

অলস ব্যক্তিদের গড় আইকিউ শারীরিকভাবে সক্রিয়দের তুলনায় বেশি

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অলস সময় কাটাতে পছন্দ করেন, তাদের উচ্চ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শুয়ে বা বসে অলসভাবে সময় কাটানো ব্যক্তি সহজে ‘বোর’ হন না এবং তাই তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেদের ব্যস্ত রাখার প্রয়োজন অনুভব করেন না। বরং তারা নিরিবিলি চিন্তা করে সময় কাটাতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়াতে পছন্দ করেন।

 

অলস সময় কাটানোর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন। অন্যদিকে, যারা শারীরিকভাবে সক্রিয়—যেমন ঘুরে বেড়ানো, আড্ডা দেওয়া, পার্টি করা বা পেশাগত কাজে শারীরিক পরিশ্রম করেন—তাদের তুলনামূলকভাবে বুদ্ধিমত্তা কম হতে পারে। এই ব্যক্তিরা সহজেই বিরক্ত হয়ে যান এবং কিছু না করে সময় কাটানো তাদের জন্য কঠিন। তারা সবসময় কিছু না কিছু করতে চান, যা মূলত সমস্যাগুলো থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।

 

ফ্লোরিডা গলফ কোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. টড ম্যাকেলরয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় ৬০ জন সদস্যকে দুটি দলে ভাগ করা হয়—‘থিঙ্কার’ এবং ‘নন-থিঙ্কার’। তাদের শারীরিক কার্যকলাপ পরিমাপ করতে স্মার্টওয়াচের মতো বিশেষ একটি ট্র্যাকার ব্যবহার করা হয়।

 

গবেষণায় দেখা গেছে, অলস সময় কাটানোর অভ্যাস রয়েছে এমন ব্যক্তিদের আইকিউ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে ড. টড ম্যাকেলরয় সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, অলসতা মানে সোজা সাপ্টা বুদ্ধিমান হওয়া নয়। তবে যেসব ব্যক্তি শারীরিকভাবে কম সক্রিয়, তাদের মস্তিষ্কের ব্যবহার বেশি হয় এবং তারা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো ঠিকই করেন।

 

একটা মজার বিষয় হলো, যারা অলস থাকতে পছন্দ করেন, তারা সাধারণত তাদের জীবনসঙ্গী হিসেবে শারীরিকভাবে সক্রিয় মানুষকে বেছে নেন। অর্থাৎ, ‘থিঙ্কার’রা ‘নন-থিঙ্কার’দের প্রতি আকৃষ্ট হন, যদিও এর কোনো ব্যাখ্যা এই গবেষণায় দেওয়া হয়নি।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট