দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ১১:৩০

রাজবাড়ীতে ছোট ডিমকে মাঝারি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে, এবং এর দামও বেশি।

রাজবাড়ী শহরের একটি ডিমের আড়ত। গতকাল বুধবার দুপুরেছবি: এম রাশেদুল হক

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দ্বারা নির্ধারণ করা হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিমের সর্বোচ্চ দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার কথা থাকলেও, রাজবাড়ীতে ভোক্তাদের বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। গতকাল বুধবার খুচরা পর্যায়ে আকারভেদে বাদামি ডিম প্রতি ডজন ১৪৪ থেকে ১৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারেরা খামার থেকে ডিম কিনে সাধারণত বড়, মাঝারি ও ছোট আকারে দাম নির্ধারণ করেন। পাইকারদের কাছ থেকে ডিম কিনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এবং তারা আবার দোকানিদের কাছে বিক্রি করেন।

খামারিরা অভিযোগ করেছেন, পাইকারেরা ছোট আকারের ডিম কম দামে কিনে তা মাঝারি বা বড় আকারের দামে বিক্রি করছেন। প্রতিটি ডিমে ১০ পয়সা লাভ হওয়ার কথা থাকলেও, পাইকারেরা ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা লাভে বিক্রি করছেন, ফলে খামারিরা কম দাম পাচ্ছেন এবং ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন।

গতকাল জেলার বিভিন্ন খামারে দেখা যায়, খামার থেকে বড় বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৪০ পয়সায় (প্রতি ডজন ১৪৬–১৪৯ টাকা)। পাইকারেরা পরিবহন খরচ ও লাভ রেখে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৭০ পয়সায় (প্রতি ডজন ১৫০–১৫২ টাকা)। দোকানিরা ভোক্তাদের কাছে ২০–৩০ পয়সা লাভে ডিম বিক্রি করছেন ১২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৩ টাকায় (প্রতি ডজন ১৫৩–১৫৬ টাকা)।

মাঝারি আকারের ডিম পাইকারেরা ১২ টাকায় কিনছেন (প্রতি ডজন ১৪৪ টাকা) এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ১২ টাকা ২০ পয়সায় (প্রতি ডজন ১৪৬ টাকা) কিনছেন। দোকানিরা এগুলো ১২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৫০ পয়সায় (প্রতি ডজন ১৪৯–১৫০ টাকা) বিক্রি করেন। ছোট আকারের ডিম পাইকারেরা ১০–১১ টাকায় কিনছেন এবং পরে ১ থেকে ১.৫ টাকা লাভে বিক্রি করছেন।

সদর উপজেলার বাগমারার খামারি সামির আহম্মেদ জানান, তাঁর খামারে ১০ হাজার লেয়ার মুরগি রয়েছে এবং গড়ে প্রতিদিন ৮ হাজার ডিম উৎপাদিত হয়। তিনি বলেন, পাইকারেরা ডিমের দাম নির্ধারণ করে থাকেন, ফলে তাঁদের সঠিক দাম পান না।

গোয়ালন্দের খামারি মোক্তার হোসেন খান বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ডিমের জোগানদাতা কাজী ফার্ম প্রতি ডিম ১১ থেকে সাড়ে ১১ টাকায় ডিলারদের কাছে বিক্রি করছে, অথচ স্থানীয় পাইকারেরা বাজারে প্রতিটি ডিম ১ থেকে ১.৫ টাকা লাভে বিক্রি করছেন।

পাইকারিরা অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, ছোট ডিমের দামও নির্ধারণ করা হয়, এবং খামারিরা যাচাই-বাছাই করে ডিম বিক্রি করেন। কাজী ফার্মের ডিলাররা সরকারের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ডিম বিক্রি করছেন এবং বাজারে চাহিদা অনুযায়ী কিছু মজুত করা হয়।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট