নাটোরের সিংড়ায় মদনডাঙ্গা নদী দখল নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন এবং ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটে আজ মঙ্গলবার দুপুরে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সিংড়া ও নাটোর সদর থেকে কিছু যুবক কয়েকটি মোটরসাইকেলে ঢাকঢোর বাজারে আসলে মদনডাঙ্গা গ্রামের লোকজন তাদের নদী দখলকারী বলে মারধর শুরু করেন। এর পর উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়, ফলে ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে মো. মকুল (৩০) ও শহিদুল ইসলাম (৩২) নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আত্রাই নদীর একটি শাখা মদনডাঙ্গা নদী নাটোরের নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলার সীমান্তে প্রবাহিত। দীর্ঘদিন ধরে সিংড়া উপজেলার ঢাকঢোর গ্রামের লোকজন নদীর অংশ দখল করে আসছিলেন, যা প্রতিবছর স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নামে অবৈধভাবে ইজারা দেওয়া হতো। অন্যদিকে, মদনডাঙ্গা গ্রামের লোকজন সম্প্রতি ওই অংশ নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালান। শুক্রবার মৎস্যজীবীরা নদীটিকে ‘অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করেন এবং নদীর ভেতরে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন, ফলে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
ঘটনার খবর পেয়ে সিংড়া কমিশনার (ভূমি) গোলাম রব্বানী সরদার ও নলডাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিকুর রহমানসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রব্বানী সরদার বলেন, সরকারি নদী দখল বা ইজারা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঘটনার পর পরিত্যক্ত মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।