মাঙ্কিপক্স শনাক্তের জন্য প্রথম পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), যা দ্রুত ফলাফল পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মারাত্মক এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে দ্রুত শনাক্তকরণ পরীক্ষা সহায়তা করবে। নতুন এই পিসিআর পরীক্ষা ত্বকের ক্ষত স্থান থেকে সোয়াব নিয়ে এমপক্স ডিএনএ সনাক্ত করতে সক্ষম। নমুনা পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে, এরপর ফলাফলের জন্য রোগী এবং চিকিৎসকদের অপেক্ষা করতে হবে।
সীমিত পরীক্ষার কিট এবং সরঞ্জামের অভাব, পাশাপাশি মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিশ্চিত করতে বিলম্ব হওয়া আফ্রিকার জন্য ভাইরাসটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই বছর আফ্রিকায় ৩০,০০০ এর বেশি সন্দেহভাজন ঘটনার মধ্যে ৪০ শতাংশের ক্ষেত্রে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক ইউকিকো নাকাতানি নতুন এই পরীক্ষাকে ‘একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “গুণমান নিশ্চিত করে এই চিকিৎসা পণ্যের সরবরাহের মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তার রোধ এবং সুবিধাবঞ্চিত দেশগুলোকে সহায়তা করাই আমাদের লক্ষ্য।”
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে সর্বাধিক সংখ্যক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে এবং কিছু সাফল্য দেখা দিয়েছে। এমপক্স অত্যন্ত সংক্রামক একটি রোগ, চলতি বছরে দেশটিতে এ রোগে কমপক্ষে ৬৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত আগস্টে, ডিআর কঙ্গোতে ক্রমবর্ধমান মাঙ্কিপক্সের ঘটনা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। কিছু পশ্চিমা দেশ আফ্রিকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এমপক্স ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া শুরু করেছে, তবে জরুরিভাবে আরও টিকা দেওয়ার প্রয়োজন বলে জানা গেছে।
আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (আফ্রিকা সিডিসি) জানায়, রুয়ান্ডায় গত মাসে প্রথম এমপক্স ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে এবং নাইজেরিয়ায় টিকাদান অভিযান আগামী মঙ্গলবার চালু হবে। ডিআর কঙ্গোতে টিকাদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং সংক্রামিত রোগীদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা।