উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। মানহীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা রোধে এই আইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুমোদনের শর্তগুলো আরও কঠোর করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যেই আইনটি বাস্তবায়নের জন্য সংশোধনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (মাউশি)।
মাউশি সূত্রে জানা যায়, সংশোধনের খসড়া প্রস্তুতের জন্য একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে মাউশির সিনিয়র সচিবসহ জনপ্রশাসন, অর্থ, স্বাস্থ্য, কৃষি, এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় উপস্থিত এক সদস্য জানিয়েছেন, সংশোধিত আইনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, সাময়িক অনুমতির মেয়াদ, পাঠ্যক্রম কমিটি, শিক্ষার্থী ফি, এবং চাকরি প্রবিধানমালার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমান আইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেতে প্রথমে সাময়িক অনুমতি নিতে হয় এবং পরবর্তীতে নানা শর্ত পূরণ করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যূনতম আকার ও অর্থের দাবি যেমন রয়েছে, তেমনই নতুন নিয়ম অনুসারে আগের চেয়ে কঠোর শর্তের আওতায় আসতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. ফরহাদ হোসেন জানান, উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত করতে আরও কর্মশালার প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, অনুমোদনের জন্য বিদ্যমান শর্তের পাশাপাশি কিছু নতুন কঠোর শর্ত যুক্ত হতে পারে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান বজায় থাকে।
১৯৯২ সাল থেকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে এবং বর্তমানে দেশে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে, শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান ভালো থাকলেও বর্তমানে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।