অভিযোগ দেওয়ার পরও তা আমলে না নিয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি, তারা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) মো. তসলিম উদ্দিন খান ও সাবেক পরিচালক (এমআইএস) মো. শাহাদাত হোসাইনের বিরুদ্ধে রেজিস্টার কেলেঙ্কারি, টেন্ডার বাণিজ্য এবং দুর্নীতির অভিযোগ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিবের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
নিপীড়িত ও বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, তসলিম উদ্দিন খান এবং শাহাদাত হোসাইনের দুর্নীতির ফলে পরিবার কল্যাণ সহকারী রেজিস্টার (৯ম সংস্করণ), সাপ্লিমেন্টারি রেজিস্টার ও বিভিন্ন এমআইএস ফরম সরবরাহ না নিয়েই ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিপুণ প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এই কাজে সহযোগিতা করেছেন উপকরণ ও সরবরাহ ইউনিটের তৎকালীন উপপরিচালক (বৈদেশিক সংগ্রহ) শাহাদাত হোসাইন ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (সংযুক্ত-উপকরণ ও সরবরাহ ইউনিট) মো. রফিকুল ইসলাম। শাহাদাত হোসাইন দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি এবং রফিকুল ইসলাম কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন।
নিপুণ প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজের সত্ত্বাধিকারী ইকবাল হায়দার চৌধুরী এবং পরিচালক (এমআইএস) মো. তসলিম উদ্দিন খান একই এলাকার (সিরাজগঞ্জ) অধিবাসী। চুক্তি অনুযায়ী, ৮ সপ্তাহের মধ্যে সকল মালামাল সরবরাহের কথা ছিল, কিন্তু মালামাল রিসিভ না করেই তৎকালীন অতিরিক্ত পরিচালক (ড্রাগস অ্যান্ড স্টোরস) মো. তসলিম উদ্দিন খান মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মালামাল বুঝে পাওয়ার প্রত্যয়ন দেন, ফলে সকল বিল পরিশোধ করা হয়।