### শরতের সাজ: নীলের রাজ্যে
শরৎকালে বর্ষার বিদায়ের সাথেই প্রকৃতিতে শুরু হয় একটি নতুন রূপের আবির্ভাব। আকাশে সাদা মেঘের মুকুট এবং নির্মল বাতাসের মাঝে শরৎ এল আনন্দ ও রঙের বহিঃপ্রকাশ নিয়ে। এই ঋতুতে গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শীতের মিশ্রণ রয়েছে, যা আমাদের পোশাকের ধরনে প্রতিফলিত হয়।
#### পোশাকের রঙ ও ডিজাইন
শরতের রঙ হিসেবে সাদা, নীল, আকাশি ও ছাই রঙের আধিক্য দেখা যায়। এই সময়ের পোশাকগুলোর কাপড়, ডিজাইন ও রং বিশেষভাবে নির্বাচন করা হয়। বর্ষার প্রভাব মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলোতে তৈরি হয় বিভিন্ন পোশাক। বৃষ্টির ফুল, লতাপাতা এবং মেঘলা আকাশের মোটিফ পোশাকগুলোতে দেখা যায়। রঙের মধ্যে সবুজ, নীল, ছাই ও আকাশির প্রাধান্য বেশি।
#### পোশাকের ধরন
শরতে সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি অথবা ফতুয়া পরা যায়। কামিজের সাথে মানানসই সালোয়ার ও ওড়না পরা উচিত। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেকেই আরামদায়ক কুর্তা ও ফতুয়ার দিকে ঝুঁকছেন। জিন্সের সাথে বিভিন্ন ধরনের টপও পরা যায়। যারা শাড়ি পরতে চান, তারা বেছে নিতে পারেন হালকা রঙের শাড়ি। ফিকে নীল শাড়িতে জরিপাড় বা চাঁপাফুলের ডিজাইনও মানানসই।
#### আরামদায়ক কাপড়
এ সময়ের জন্য আরামদায়ক কাপড় হিসেবে সুতি, সিল্ক এবং খাদি আদর্শ। সুতি কাপড়ের হালকা ওজন এবং বায়ুচলাচল ক্ষমতা অনেকটাই আরামদায়ক। সিল্কও হালকা এবং আরামদায়ক, যা শরতের জন্য উপযুক্ত। খাদি কাপড়ের শাড়ি বা কুর্তি পরা যেতে পারে, যা ক্লাসি দেখতে এবং গরমেও আরামদায়ক।
#### সাজের ধারণা
শরতের সাজে পানিরোধক উপকরণের ব্যবহার জরুরি। ভারী মেকআপ এ সময়ে তেমন মানায় না, তাই হালকা মেকআপই ভালো। উজ্জ্বল রঙ যেমন লাল, নীল, বেগুনি ও হলুদ নিয়ে সাজতে পারেন। কপালে মানানসই টিপ এবং চোখে নীল বা সবুজ কাজল ব্যবহার করুন। আইশ্যাডোতে হালকা রং বেছে নিন এবং লিপস্টিকে গ্লোসি রং নির্বাচন করুন।
এ সময় হাতে একগোছা চুড়ি না থাকলে চলে না, নীল ও অন্যান্য রঙের উপযোগী চুড়িগুলো আপনার সাজকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
লেখা: ফেরদৌস আরা