দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ১০:৪৬

দেশের ৮০ শতাংশ রোগী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ওপর নির্ভরশীল।

অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম হলো হৃদরোগ। দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় উন্নতি ঘটলেও রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এখনও রোগীদের জন্য প্রধান ভরসা। এখানে দেশের ৮০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা হয়। ঢাকার বাইরে সরকারি মাত্র একটি মেডিক্যাল কলেজ এবং বেসরকারি চারটি হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারির ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে সময়মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

 

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশে হৃদরোগের বিশ্বমানের সেবা বিদ্যমান, তবে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রধানত ঢাকা কেন্দ্রিক। যাদের সামর্থ্য আছে, তারা চিকিৎসা নিতে পারেন, কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই, তারা উপকৃত হন না। বর্তমানে এনজিওগ্রাম, রিং পরানো এবং বাইপাস সার্জারির মতো চিকিৎসাসেবা শহরগুলোতে সীমাবদ্ধ।

 

ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোতে হৃদরোগী রোগীদের চাপ অত্যন্ত বেশি। শনিবার রাজধানীর শ্যামলী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের শিশু কার্ডিয়াক ওয়ার্ডে দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সের হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের। কুমিল্লা থেকে আসা মা আসকিনা জানান, তার ছেলের হার্টে ছিদ্র রয়েছে এবং চিকিৎসক জানিয়েছেন অপারেশন করাতে হবে।

 

এছাড়া, ময়মনসিংহ থেকে আসা নীলিমা বেগম তার ২৭ দিনের শিশু মিজানুরের নিউমোনিয়া সমস্যার জন্য ভর্তি হয়েছেন। কুষ্টিয়া থেকে আসা মৌসুমি বেগমের ১০ মাস বয়সী ফাইজারের হার্টে ছিদ্র রয়েছে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী এক বছরের মধ্যে অপারেশন করাতে হবে।

 

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৯৫ হাজার ২৪ জন রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন, যা পরবর্তীতে ২০২১ সালে বেড়ে ১ লাখ ১৫ হাজারে পৌঁছেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

 

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, দেশের বাইরে হৃদরোগ চিকিৎসার সুযোগ সীমিত। এ কারণে রোগীরা বাধ্য হয়ে ঢাকায় আসছেন।

 

সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, ঢাকার বাইরে উন্নত চিকিৎসাসেবা গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে।

 

এদিকে, আজ ২৯ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ পালিত হচ্ছে, যার এবারের প্রতিপাদ্য ‘ইয়েস, ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন’। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট