সুন্দর পাহাড়ের রূপ, নির্জনতা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি কারো মনেই প্রশংসার কমতি নেই। তবে, পাহাড়ে পর্যটক স্পটের পাশাপাশি থাকার সুযোগও জরুরি। শান্তি, পাখির কলতান এবং বিভিন্ন ধরনের সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা পাহাড় প্রকৃতিকে কাছ থেকে উপভোগের আদর্শ স্থান।
বান্দরবানের প্রান্তিকলেক এমনই একটি জায়গা, যা জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় অবস্থিত। জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের হলুদিয়া-ভাগ্যকুল সড়কে ৬৫ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত প্রান্তিকলেক ২০১৩ সালে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এখানে ২৫ একর আয়তনের একটি পাহাড়ি লেক রয়েছে।
লেকের চারপাশে নানা প্রজাতির গাছগাছালি, উন্মুক্ত মঞ্চ, পিকনিক স্পট, বিশ্রামাগার, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এবং নেপাল থেকে আমদানি করা ট্রি-টপ অ্যাডভেঞ্চার ও জিপ-লাইন ট্রলি রয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ-চালিত বোটে লেকে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগও রয়েছে, এবং মাছ শিকারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এটি ক্যাম্পিংয়ের জন্য একটি আদর্শ স্থান, যেখানে তাবু টাঙানোর সুযোগ রয়েছে। আধুনিক রেস্টুরেন্ট ও হলুদিয়া থেকে আলাদা পরিবহন ব্যবস্থা থাকলে প্রান্তিকলেক আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, “বান্দরবান বৈচিত্র্যময় একটি জেলা। প্রান্তিকলেক পর্যটন স্পটকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
প্রান্তিকলেকে প্রবেশের জন্য জন প্রতি ২০ টাকা টিকেট কাটতে হবে, এবং নৌকা ভ্রমণের জন্য আলাদা অর্থ গুণতে হবে।
যাতে আসা যায়: বান্দরবন-চট্টগ্রাম সড়কের হলুদিয়া বাজার থেকে সিএনজি বা ব্যাটারি চালিত টমটমে করে প্রান্তিকলেক যাওয়া যায়।
রাত্রিযাপন: এখানে রাত কাটানোর ব্যবস্থা এখনও নেই, তাই দিনেই ঘুরে আসতে হবে।