অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্কে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রধানরা। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলাদা হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরে থাকা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার দুর্দশা দূর করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া উচিত উল্লেখ করে ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, “অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব গ্রহণের ফলে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় আরও অর্থায়ন হবে।”
গ্র্যান্ডি বলেন, “বিশ্বব্যাংকের ৭০০ মিলিয়ন ডলার একটি ভালো সূচনা।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
ড. ইউনূস সংকটের দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করা এবং বাংলাদেশে আশ্রয়শিবিরে বেড়ে ওঠা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শিশুর ভবিষ্যতের জন্য আরও উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “আমাদের দ্রুত সমাধান করতে হবে, এর আগে নয়।”
এরপর, আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট হুংবো নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নে আপনার সরকারের সহায়তায় প্রস্তুত আছি এবং প্রয়োজনে সাহায্য করতে এগিয়ে আসব।”
আইএলও মহাপরিচালককে প্রধান উপদেষ্টা জানান, শ্রম সংস্কার তাঁর সরকারের একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার, কারণ এটি বাংলাদেশকে বিশ্বমানের উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ড. ইউনূস বলেন, “শ্রম সমস্যা সমাধান করলে বাংলাদেশ অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ পাবে। আমরা এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক।”