জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য দশ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে একটি অফিস আদেশে ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে কমিটির আহ্বায়ক এবং মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এদিকে, এই কমিটি নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় আলেম ও ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেন, “ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কি পড়বে, তা চিহ্নিত ধর্মবিদ্বেষীরা ঠিক করবে! এটি শহীদদের রক্তের সঙ্গে স্পষ্ট বেঈমানি।”
তিনি কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফার কিছু ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন এবং আরও লিখেন, “অবাক করা ব্যাপার হলো, এসব ধর্মবিদ্বেষীরা কেউ কারিকুলাম বা পাঠ্যপুস্তক বিশেষজ্ঞও না। তবুও তাদেরকে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফাকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করুন।”
প্রসঙ্গত, নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন—শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এবং এনসিটিবির শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী।
আলেম সমাজের অভিযোগ, কমিটিতে ইসলাম বিদ্বেষী এবং সমকামিতাকে সমর্থনকারী ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত আছেন। বক্তারা দাবি করেছেন, তাদের বাদ দেওয়া উচিত, কারণ অধ্যাপক মামুন সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন এবং সামিনা লুৎফা সমকামিতা ও লিঙ্গ স্বাধীনতার নামে বিকৃত মতবাদ প্রচারে সক্রিয়।
