দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ১৪:৪৮

এই কারিনাকে আগে কেউ চিনত না।

প্রচণ্ড মানসিক টানাপোড়েন নিয়ে নতুন শহর বাকিংহামে কাজ করতে আসে জাসমিত ভারমা, ওরফে জ্যাস। এই ব্রিটিশ-ভারতীয় গোয়েন্দা বাকিংহামে এসে প্রথমেই জড়িয়ে যায় একটি মিসিং কেসে। ১০ বছর বয়সী ইশপ্রীত কোহলি নামে এক শিশু নিখোঁজ। তবে নিজের অতীতের স্মৃতির ভার থেকে মুক্তি না পাওয়ায় জ্যাস শুরুতে এই তদন্তে যুক্ত হতে চায়নি। কিন্তু পরদিনই পাওয়া যায় ইশপ্রীতের মরদেহ!

 

**সিনেমা**: *দ্য বাকিংহাম মার্ডারস*

**জনরা**: ক্রাইম থ্রিলার

**পরিচালক**: হংসল মেহতা

**অভিনয়**: কারিনা কাপুর খান, রণভীর ব্রার, অ্যাশ টেন্ডন, প্রভলিন সাধু, কিথ অ্যালেন

 

খুনের তদন্ত শুরু হতেই অস্বাভাবিক দ্রুততায় ধরা পড়ে খুনি, যে সব অপরাধ স্বীকারও করে নেয়। কিন্তু তদন্তে রহস্য যেন তখনো অনেক বাকি। জ্যাস সন্দেহ করতে শুরু করে তার সহকর্মী হার্ডি প্যাটেলকে নিয়ে, কিন্তু প্রমাণের অভাবে পিছিয়ে আসতে হয়। নিজের অতীত নিয়েও তাকে শুনতে হয় নানা কথা।

 

তবুও জ্যাস এ ঘটনা থেকে মন সরাতে পারে না। সে খুঁজতে থাকে সূত্র, যা তাকে নিয়ে যাবে আসল খুনির কাছে। একসময় সে বুঝতে পারে, বাকিংহাম শহরে অধিকাংশ মানুষ অভিবাসী হলেও তাদের মধ্যে ধর্ম ও জাতিগত বিদ্বেষ প্রকট। শহরের ওপর ছড়িয়ে পড়া ভয়, রাগ ও ঘৃণার মধ্যে কি ইশপ্রীতের মৃত্যুর আসল কারণ লুকিয়ে আছে? একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে এমন সব ঘটনা, যা বারবার চমকে দেয়।

 

হংসল মেহতার আগের কাজগুলোর মতোই, *দ্য বাকিংহাম মার্ডারস*–এ রয়েছে একটি অন্ধকারময় দিক। কাহিনি ধীরগতিতে এগোতে থাকে, এবং ক্রাইম ড্রামা হিসেবে এতে উত্তেজনা অনেকটাই কম। সিনেমাটি ইংল্যান্ডের বাকিংহ্যামশায়ারে শুটিং হলেও শহরের খুব নির্দিষ্ট কিছু অংশই দেখানো হয়েছে, যা গল্পের ধূসর আবহের সঙ্গে মানিয়ে যায়।

 

পরিচালক এখানে মাদক, সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, পারিবারিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা তুলে ধরতে চেয়েছেন। তবে অনেক কিছু দেখাতে গিয়ে চিত্রনাট্যে কোথাও যেন ফাঁক থেকে গেছে, যা গল্পের গভীরতা ঠিকভাবে ফুটে ওঠেনি। তবে যিনি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়েন, তিনি কারিনা কাপুর খান। গ্ল্যামারাস লুক ছেড়ে তিনি এখানে নো-মেকআপ লুকে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন, যা তার চরিত্রকে আরও শক্তিশালী করেছে। অভিনেত্রী ছাড়াও এই সিনেমার অন্যতম প্রযোজক কারিনা। তার প্রথম প্রযোজনা হিসেবে তিনি একটি নিরীক্ষাধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা প্রশংসনীয়।

 

সিনেমার অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রণভীর ব্রার ছেলেহারা বাবার চরিত্রে ভালো অভিনয় করেছেন। অ্যাশ টেন্ডনের গোয়েন্দা চরিত্রটি নজর কাড়ে। তবে প্রভলিন সাধুর মায়ের চরিত্রটি কিছুটা সাদামাটা মনে হয়েছে। কিথ অ্যালেনের ছোট চরিত্রও উল্লেখযোগ্য ছিল।

 

*দ্য বাকিংহাম মার্ডারস* শুধুই একটি খুনের রহস্য নয়। এতে উঠে এসেছে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা এবং অবদমিত ক্ষোভের বিস্ফোরণ। যদিও কাহিনি ধীরগতিতে এগোয়, তবে শেষ পর্যন্ত রহস্য উন্মোচন করে পরিচালক দর্শকদের চমক দিতে সফল হয়েছেন।

 

১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া এই ১০৭ মিনিটের সিনেমাটি শিগগিরই নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং হবে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট