গান ও গল্পে শ্রোতাদের স্মৃতির পথে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা ও সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম। তিনি পরিবেশন করলেন জনপ্রিয় গানগুলো, যেমন ‘এক হৃদয়হীনার কাছে’ এবং ‘আশা ছিল মনে মনে’, সেইসঙ্গে শোনালেন এসব গান নিয়ে গল্প।
আজ বিকেলে প্রথম আলোর নিয়মিত আয়োজন ‘মিউজিক@ডেস্ক’-এ রফিকুল আলম সুরের মায়া ছড়ান। ঢাকার প্রথম আলো কার্যালয়ের সপ্তম তলায় বিকেল সাড়ে চারটায় কর্মীদের সামনে গান পরিবেশন করেন তিনি।
গান শুরু করার আগে রফিকুল আলম বলেন, “মাঠে-ঘাটে অনেক গান করেছি, বিদেশেও গেয়েছি। কিন্তু কাজের পরিবেশে এমনভাবে গান গাইতে হবে, তা ভাবিনি। এখানে গাইতে পেরে ভালো লাগছে।”
প্রথমেই তিনি গেয়ে শোনালেন আশির দশকের জনপ্রিয় গান ‘বৈশাখী মেঘের কাছে’, যেটি লিখেছেন আবু হায়াত মোহাম্মদ কামাল, আর সুর দিয়েছেন অনুপ ভট্টাচার্য। এরপর এক শ্রোতার অনুরোধে ‘এক হৃদয়হীনার কাছে’ গানটি পরিবেশন করেন এবং তার আগে গানটির একটি মজার গল্প শোনান। তিনি জানান, একসময় প্রেমে ব্যর্থ তরুণদের মধ্যে গানটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। এমনকি ঢাকার এক বিখ্যাত নায়ক মাঝেমধ্যেই তাঁকে ফোন করে এই গানটি শোনানোর আবদার করতেন।
এই আয়োজনে রফিকুল আলম আশি ও নব্বইয়ের দশকের আধুনিক ও চলচ্চিত্রের কালজয়ী গানগুলো গেয়েছেন। গানগুলো শুনে শ্রোতারা স্মৃতিতে ফিরে গেছেন কেউ তারুণ্যে, কেউবা কৈশোরে।
আরেক শ্রোতার অনুরোধে তিনি পরিবেশন করেন ‘আশা ছিল মনে মনে’, যা জহির রায়হানের ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের কবিতার কয়েকটি লাইন থেকে তৈরি। পরে তিনি পরিবেশন করেন শাহনেওয়াজের সুরে বিটিভির একটি নাটকের গান। এরপর শোনান ‘এক নদীরই উজান-ভাটি, আমরা দুটি ধারা’, যা কবি শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’ কবিতা থেকে সুরারোপিত, এবং এ গান দিয়েই তাঁর পরিবেশনার সমাপ্তি টানেন।
এই আয়োজনে বাদ্যযন্ত্রী হিসেবে রফিকুল আলমের সঙ্গে ছিলেন সজীব (কি-বোর্ড), দীপন (গিটার), এবং বিশু (তবলা)। প্রথম আলোর নিয়মিত মাসিক আয়োজন ‘মিউজিক@ডেস্ক’-এ এ পর্যন্ত আরও অনেক শিল্পী গান পরিবেশন করেছেন, যেমন অদিতি মহসিন, হায়দার হোসেন, বাপ্পা মজুমদার, রাহুল আনন্দ, কৃষ্ণকলি ইসলাম, কনক আদিত্য, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, নবনীতা চৌধুরী, ঋতুরাজ বৈদ্য প্রমুখ।