দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ১৩:৩২

অনিয়ম-নৈরাজ্য রোধে জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিস কমিশন গঠনের দাবি জানাল এবি পার্টি

রাজধানীর বিজয়নগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবি পার্টি। ২৬ সেপ্টেম্বর।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার দেশের প্রতিটি খাতকে দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা। তাঁরা বলেছেন, অনিয়ম-নৈরাজ্য রোধে জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিস কমিশন গঠন ও জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। একই সঙ্গে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর উদ্যোগ নিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে।

‘স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুর্নীতি, অসহনীয় নৈরাজ্য, বদলি, নিয়োগ–বাণিজ্য বন্ধ করা ও ঘুণে ধরা স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি সংস্কারের’ দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এবি পার্টির নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এবি পার্টির নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশের প্রতিটি খাতকেই দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি জনসাধারণকে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ফেলেছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখনো কাঙ্ক্ষিত সেবার ন্যূনতমও পাওয়া যায় না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব বলেন, ভোটবিহীন অবৈধ সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা ছিল না। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে প্রশিক্ষিত জনশক্তির অভাব রয়েছে। চিকিৎসার ব্যয়ভার সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের সহযোগিতায় দালাল চক্র তাণ্ডব চালাচ্ছে। রাজনৈতিক মেরুকরণের জন্য সেবাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব-দলাদলি রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছে। আস্থা হারিয়ে অনেকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে।

অনিয়ম-নৈরাজ্য রোধে জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিস কমিশন গঠন ও জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান আব্দুল ওহাব। এ ছাড়া জনস্বাস্থ্য ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, বেসরকারি পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী-চিকিৎসক-ইন্টার্নদের সম্মানজনক ভাতা দেওয়া এবং রেফারেলপদ্ধতি চালুর দাবি জানান তিনি।

এ সময় স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার নিয়ে কথা বলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মোজাহেরুল হক ও গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শওকত আরমান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান, যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান, যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, সহকারী সদস্যসচিব মোহাম্মদ লোকমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট