দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৮:৪৬

সরকার ৭০৮ শহিদের পরিচয় প্রকাশ করেছে।

চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৭০৮ জনের একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই তালিকায় নিহতদের নাম, বাবার নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, জন্ম তারিখ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদি কোনো তথ্য ভুল থাকে, তবে তা সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজন করা যাবে।

 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যদিও বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে যে আন্দোলনে ১৪০০-এরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, তবে এটি যাচাই করা সংখ্যা নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত এই তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইট (www.dghs.gov.bd) এ প্রকাশিত হয়েছে।

 

তথ্য সংশোধন বা সংযোজনের জন্য তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। নিহতদের পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ বা প্রতিনিধিদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য যাচাই, সংশোধন এবং পূর্ণাঙ্গ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

 

প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে মতামত, পরামর্শ বা নতুন তথ্য-উপাত্ত সংযোজনের জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

 

তথ্য সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ হলো:

 

(ক) নিহত পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্ম নিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

(খ) রেজিস্ট্রেশন করার পর নিহত ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।

(গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।

(ঘ) পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে গেলে তারা তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।

(ঙ) হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিহত পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধির পূরণ করা ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্য হালনাগাদ করবেন।

(চ) দাখিলকৃত তথ্য সঠিকভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হয়েছে কিনা তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।

 

যদি সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহতদের মধ্যে কোনো নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে, তাহলে তাদের পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিদের উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট