জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, “আমি স্বৈরাচারের পক্ষে যারা কাজ করেছে, তাদের ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না এবং তাদের ভাইস-চ্যান্সেলর হতে দেব না। আমাদের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আইন মেনে চলতে বাধ্য। একসাথে কাজ করে স্বৈরাচার প্রতিরোধ করতে হবে এবং সবার সহযোগিতায় সফলতা অর্জন করতে হবে।”
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “আমাদের হল নেই এবং ভিসি ভবনও নেই, তাই আমি ক্যাম্পাসে থাকার জন্য সঠিক স্থান খুঁজে পাচ্ছি না। নতুন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা সহজ হবে না, তবে আমরা অগ্রগতি জানাবো।”
উপাচার্য আরও জানান, “আমাদের অডিটোরিয়ামের এসি সব নষ্ট। ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং নতুন ভবন নির্মাণ করতে হলে পুরনোগুলো ভাঙতে হবে। এছাড়া, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিতে চাই।”
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, “ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবে না, তবে এর সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে।” তিনি জকসুর দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
মানোন্নয়ন পরীক্ষায় জিপিএ পাওয়ার সীমাবদ্ধতা তুলে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “সুযোগ দিতে গেলে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে।”
সমাবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, “আমি নতুন ক্যাম্পাসে পরবর্তী সমাবর্তন আয়োজনের কথা ভাবছি, যা প্রস্তুতির জন্য এক বছর লাগবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও প্রতিনিধিরা।