### স্ক্যাল্পের সুস্থতায় করণীয়
চুলের যত্ন নিতে হলে মাথার স্ক্যাল্পের (ত্বক) ধরন এবং তার অনুযায়ী যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শোভন মেকওভারের বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের ত্বকের মতো স্ক্যাল্পেরও বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যেমন স্বাভাবিক, শুষ্ক ও তৈলাক্ত। সুতরাং, যত্নের আগে স্ক্যাল্পের ধরন বুঝে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
**স্বাভাবিক স্ক্যাল্প:**
স্বাভাবিক স্ক্যাল্পে সিবাশিয়াস গ্রন্থি কম থাকে, ফলে এটি অতিরিক্ত তেলাক্ত হয় না। ফলে খুশকি ও শুষ্কতা হয় না।
**তৈলাক্ত স্ক্যাল্প:**
এই ধরনের স্ক্যাল্পে খুশকির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ এবং ময়লা জমে যাওয়ায় রোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়, ফলে চুল হয়ে পড়ে তেলচিটচিটে।
**শুষ্ক স্ক্যাল্প:**
এ ধরনের স্ক্যাল্পে চুলকানির সমস্যা বেশি হয় এবং এটি সাধারণত আরও বিব্রতকর।
স্ক্যাল্পের সঠিক ধরন বুঝে নিতে পারলে যত্ন নেওয়া সহজ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইরে বের হওয়ার ফলে রাস্তার ধুলাবালি মাথার চুল ও স্ক্যাল্পে জমে যায়, তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন মাথায় ভালো করে শ্যাম্পু করা জরুরি। মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকর।
মাথার ত্বকে প্রচুর মৃতকোষ জমে, যা চুলের বৃদ্ধি বাধা দেয়। তাই নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করা প্রয়োজন। প্রতিদিন চুল আঁচড়ানো স্ক্যাল্পের জন্য ভালো। সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েটিং শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে, অথবা সমপরিমাণ ব্রাউন সুগার, ওটস ও হেয়ার কন্ডিশনার একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করা যেতে পারে।
মাথার স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্যে মাসে একবার অয়েল ট্রিটমেন্ট করা উচিত। এটি স্ক্যাল্পের অয়েল গ্রন্থিগুলোকে উজ্জীবিত করে এবং রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। পাকা অ্যাভোকোডো, নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করে মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করাও উপকারী। এটি ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায় এবং পুষ্টি চুলের গোড়ায় পৌঁছায়, যা চুলকে শক্তিশালী করে এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করা জরুরি।